ভাসানচরের গল্প উঠে এলো তথ্যচিত্রে

বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা ছোট একটি দ্বীপ ভাসানচর। দেশে তো বটে, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দ্বীপটি পরিচিত এখন। কারণ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এখানে। এই চর, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও মানুষের অসামান্য সহায়তার গল্পই উঠে এলো একটি তথ্যচিত্রে।

এর নাম ‘ভাসানচর অপারেশন’। নির্মাণ করেছেন লিটন কর। যিনি মূলত চিত্রশিল্পী। তবে সম্প্রতি ‘আই.সি.ইউ’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দেশে-বিদেশে এটি প্রশংসার পাশাপাশি পুরস্কারও পেয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তথ্যচিত্র বানালেন তিনি।

নির্মাতা জানান, এই চিত্রে মূলত ভাসান চরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রমের সঙ্গে কক্সবাজার থেকে আগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে তুলে ধরা হয়েছে।

লিটন কর বলেন, ‘বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার কতটা আত্মীয়তা পরায়ণ, সেই দিকটি তুলে ধরার লক্ষ্যেই কাজটি করেছি। সেই সঙ্গে বিদেশিদের মনে ও মগজে বন্যা কবলিত বাংলাদেশের যে ছবি রয়েছে, সেটিকে বদলে দেয়াও আমার উদ্দেশ্য। এই তথ্যচিত্রে আমরা দেখাতে চেয়েছি বাংলাদেশ শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ‌ই মোকাবেলা করে না, আমাদের রয়েছে গর্ব করার মতো মেধাবী জনগোষ্ঠী এবং অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অসংখ্য সম্ভাবনাময়ী ভূমি।’

তথ্যচিত্রের দৃশ্যএই নির্মাতা জানান, পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। তাই ছোট দৈর্ঘ্যের সিনেমা বানিয়ে হাত পাকিয়ে নিচ্ছেন।

৮ মিনিট ৪০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ‘ভাসানচর অপারেশন’-এ চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। সংগীতায়োজন করেছেন রাশেদ শরীফ শোয়েব এবং সাউন্ড ডিজাইনে রাজেশ সাহা। তথ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে উইন্ডব্লোজ কমিউনিকেশনের ব্যানারে।