লালন সাঁই, হাছন রাজা ও রাধারমন দত্ত—এই তিন জনকে লোক গানের মহাজন বলা হয়। যাদের সূত্র ধরে বাংলা লোক গানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে। মূলত এই বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের সৃষ্টি ১০টি গান কণ্ঠে তুলেছেন সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী নবনীতা চৌধুরী। যিনি এরমধ্যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে আছেন লোক ঘরানার গান কণ্ঠে তুলে।
তবে এবারের আয়োজনটি আরেকটু বিস্তৃত পরিসরে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যানারে প্রকাশ করলেন পুরো একটি অ্যালবাম। নাম ‘তিন মহাজনের গান’। যা এরমধ্যে উন্মুক্ত হয়েছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ইউটিউব চ্যানেলে। বিনিময়ে নবনীতা পাচ্ছে তুমুল প্রশংসা।
অ্যালবামটি প্রসঙ্গে নবনীতার প্রত্যাশা, ‘যে আনন্দ নিয়ে এবং গভীর প্রার্থনায় এই গানগুলো আমি গেয়েছি, আপনাদেরকেও তা স্পর্শ করবে। আশা করছি সময় পেলে গানগুলো শুনবেন এবং প্রতিক্রিয়া জানাবেন আপনারা।’
গানগুলো হলো যথাক্রমে, আছেন কোথায় স্বর্গপুরে (লালন সাঁই), বাড়ির কাছে আরশিনগর (লালন সাঁই), আমি না লইলাম (হাছন রাজা), মওলা বলে ডাক রসনা (লালন সাঁই), গুরু দোহাই তোমার (লালন সাঁই), প্রেমডুবারু না হলে (লালন সাঁই), হাছন রাজায় কয় (হাছন রাজা), কে তোমারে এ বেশ ভূষণ (লালন সাঁই), কুঞ্জের মাঝে কে গো (রাধারমন দত্ত) এবং জলের ঘাটে দেইখ্যা আইলাম (রাধারমন দত্ত)।
মানবাধিকার আইনে সিদ্ধ নবনীতা চৌধুরী একজন উন্নয়নকর্মী। বর্তমানে ব্র্যাকের পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত। গত দুই দশকে সাংবাদিকতায় ও সঞ্চালনায় নবনীতা চৌধুরী দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বিবিসি বাংলা রেডিও এবং টেলিভিশনে ‘একাত্তর জার্নাল’ ও ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনায় তার প্রজ্ঞা তাকে জনপ্রিয় করে তোলে।
তিন মহাজনের গান: