এ সপ্তাহের ছবি

শোকের বিষণ্নতা ছাপিয়ে ২৭ প্রেক্ষাগৃহে ছড়াবে ‘পেয়ারার সুবাস’

এমন বিরল মুহূর্তের সাক্ষী ঢাকাই শোবিজ এর আগে হয়নি হয়তো। সিনেমার প্রিমিয়ারে গিয়ে অভিনেতার মৃত্যু, অতঃপর সেই প্রিমিয়ার যথানিয়মে সম্পন্ন হওয়া এবং এক দিন পর ছবিটি মুক্তি! আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’। দেশজুড়ে ২৭টি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ছবিটি।

হলের তালিকাসমেত তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ছবির প্রধান চরিত্র জয়া আহসান। সেই সঙ্গে দর্শককে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “পেয়ারার সুবাস’ শুক্রবার থেকে আপনাদের কাছের প্রেক্ষাগৃহে...”।

মুক্তির প্রান্তে এসে যার কারণে ছবিটির নাম দর্শকের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেলো, তিনি আহমেদ রুবেল। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আকস্মিক মৃত্যুতে চিরবিদায় নিয়েছেন এই গুণী অভিনেতা। যে ঘটনা শুধু ‘পেয়ারার সুবাস’ টিম নয়, গোটা শোবিজ এবং দর্শক মহলে শোকের বিষণ্ণ বাতাস বইয়ে দিয়েছে। তবু ‘শো মাস্ট গো অন’ রীতিতে পর্দায় উঠছে ছবিটি। আহমেদ রুবেলকে ছাড়াই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সুবাস ছড়াবে এই ছবি। আর যতবার তিনি পর্দায় হাজির হবেন, নিঃসন্দেহে সেই মুহূর্তগুলো দর্শকের হৃদয়ে চাপা বেদনার জন্ম দেবে।

একটি দৃশ্যে সহশিল্পীর সঙ্গে তারিক আনাম খানমৃত্যুর দুদিন আগে ছবিটি নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছিলেন আহমেদ রুবেল। সেখানে তার ভাষ্য এরকম, “৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘পেয়ারার সুবাস’। এই ছবিতে তারিক আনাম খান, জয়া আহসান, আমিসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছি। মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা ছবিটি দেখতে আপনারা হলে চলে আসুন। দেখা হচ্ছে সিনেমা হলে।”

দেখা হবে বলে একেবারেই ফিরে গেলেন আহমেদ রুবেল। তার সঙ্গে দর্শকের কিংবা অন্য কারও আর কখনও দেখা হবে না। তবু নিজের অভিনীত চরিত্রগুলো হয়ে দর্শকের সঙ্গে ঠিকই অদৃশ্য সংযোগ স্থাপন করে রাখবেন।

‘পেয়ারার সুবাস’ প্রযোজনা করেছে আলফা আই ও চরকি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ছবিটি আহমেদ রুবেলের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।

যে প্রেক্ষাগৃহে চলবেউল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ‘পেয়ারার সুবাস’র শুটিং শুরু হয়েছিল। এরপর কয়েক দফায় শুটিং পিছিয়ে, নানা জটিলতা পেরিয়ে ২০২০ সালে এর চিত্রায়ণ শেষ হয়। করোনা মহামারিতে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। কাজ শুরুর দীর্ঘ আট বছর পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ৪৫তম ‘মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’র মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছিল এটি। সেখানে পুরস্কার না পেলেও দর্শক-সমালোচকের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।