এ সপ্তাহের ছবি

অপু-নিরবের মুখোমুখি দীঘি-নূর, সমানে সমান লড়াই!

একদিকে ভাষা ও ভালোবাসার মাস, আবার সদ্য শুরু হয়েছে বসন্ত। আর এই সুন্দর সময়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহে উঠেছে নতুন দুটি সিনেমা। একটি চিত্রনায়ক নিরব ও নায়িকা অপু বিশ্বাস অভিনীত ‘ছায়াবৃক্ষ’; অন্যটি প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও গাজী আবদু নূরের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। মজার ব্যাপার হলো, দুটি সিনেমার প্রেক্ষাগৃহ সংখ্যা সমান; ২৩। আবার দুটি সিনেমাই পেয়েছে সরকারি অনুদান। ফলে পর্দার লড়াইটা হচ্ছে সমানে-সমানে!

‘ছায়াবৃক্ষ’র হল তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকার প্রধান প্রেক্ষাগৃহগুলো পেয়েছে এটি। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, জয় সিনেমাস, সৈনিক ক্লাব অন্যতম। অন্যদিকে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ পেয়েছে সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখার সঙ্গে শ্যামলী সিনেমা, বিজিবি সিনেমার মতো প্রেক্ষাগৃহগুলো।

২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবিটি। চা শ্রমিকদের জীবনের অবর্ণনীয় সংগ্রামের গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন বন্ধন বিশ্বাস। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, ডন, এলিনা শাম্মি ও আজম খান। তানভীর আহমেদ সিডনির কাহিনি ও চিত্রনাট্যে এটি নির্মিত হয়েছে অনুপম কথাচিত্রের ব্যানারে।

ছবিটি নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমি তো রোমান্টিক নায়িকা। সব সময় বাণিজ্যিক ছবি করেছি। এটা এমন একটি ছবি, যেটার জন্য আমাকে গায়ের রঙ কালো করতে হয়েছে, চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়েছে। আর আমার ও নিরবের রসায়ন কেমন হয়েছে, সেটা বিচারের দায়িত্ব দর্শকের ওপর ছেড়ে দিলাম।’ 

দুই সিনেমার প্রেক্ষাগৃহের তালিকাকথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ নির্মাণ করেছেন আবদুস সামাদ খোকন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে অনুদান পেয়েছিল এটি। এই ছবিতে দীঘি-নূর ছাড়াও অভিনয় করেছেন বাপ্পা সান্তনু, মুনমুন আহমেদ, সুব্রত বড়ুয়া, মাসুম বাশার, মিলি বাশারসহ অনেকে।

নিজের অভিনীত এই ছবি নিয়ে দীঘি বলেছেন, ‘অনুদানের সিনেমাগুলো প্রায় একই ধাঁচের। বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, প্রেমের সিনেমা খুব কমই হয়। এর মধ্যে এটা একটি। তাই আমি বলতে চাই, এটি অনুদানের একটি ব্যতিক্রম ছবি হতে যাচ্ছে। আর আমি নিজেও ভাগ্যবান, উপন্যাসের ওপর নির্মিত ছবিতে অভিনয় করতে পেরেছি।’

সরকারি অনুদান আর সমান সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে পর্দায় উঠেছে ‘ছায়াবৃক্ষ’ ও ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। এর মধ্যে কোন ছবিটি দর্শকের মন জয় করবে, সেটা আপাতত সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাক।