আবার পর্দায় সেই চৈতী

নব্বই দশকের জনপ্রিয় মডেল লামিয়া তাবাসসুম চৈতী। লম্বা সময় তিনি পর্দার বাইরে। যদিও বিজ্ঞাপনচিত্রের দৌলতে তিনি এখনও দর্শক মনে নিয়মিত হয়ে আছেন। 

যেমন একটি রঙের বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘শোবার ঘরটা নীল হোক, আকাশের মতো’ কিংবা নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনচিত্রের জিংগেল ‘হারানো সেই দিন, মনে ভাসে আজও’-এর মাধ্যমে চৈতীকে এখনও স্মরণে রেখেছেন তার ভক্ত-দর্শকরা। সেই দর্শকদের জন্যই আসছে ঈদে পর্দায় ফিরছেন চৈতী। 

মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ ঈদ আয়োজনে অতিথি হয়ে আসছেন তিনি। এই বিশেষ পর্বেই চৈতী জানিয়েছেন, সময় সুযোগ হলে এবং মনের মতো চরিত্র পেলে ফের অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চান। ২৫ বছর আগে একটি মাত্র টেলিফিল্মেই অভিনয় করেছিলেন তিনি। আফজাল হোসেন পরিচালিত ‘ছবির মতো মেয়ে’ নামের সেই টেলিফিল্মে শুটিংয়ের মাঝেই প্রাণপ্রিয় বাবা ফয়েজ উদ্দিন আহমেদকে হারিয়েছিলেন তিনি। বাবার মৃত্যুর পর নতুন করে আর তিনি অভিনয়ের পথে পা বাড়াননি। 

লামিয়া তাবাসসুম চৈতীতারকা মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ সম্পর্কে চৈতীর খালাতো বোন। মৌ’র মা প্রয়াত রাশা ইসলামের সঙ্গেই চৈতী তার ক্যারিয়ারের প্রথম মডেলিং করেছিলেন। তখন তার বয়স মাত্র ৮-৯ মাস। বড় হওয়ার পর ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা রাজীব মেননের পরিচালনায় ‘রেক্সোনা’র বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করেছিলেন তিনি। রাজীব মেনন সে সময় ‘সাপনে’ (কাজল, প্রভু দেবা ও অরবিন্দ সোয়ামী) এবং পরবর্তীতে তামিল সিনেমা ‘কান্ডুকোন্ডাইন কান্ডুকোন্ডাইন’ (ঐশ্বরিয়া রাই, টাবু, মাম্মুতি ও অজিত) পরিচালনা করেছিলেন। 

লামিয়া তাবাসসুম চৈতী শিক্ষকতাও করছেন অল্প বয়স থেকে। শিক্ষকতায় তার প্রায় ২৫ বছর কেটে গেছে। 

রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচার হবে ঈদের ৪র্থ দিন, সকাল ৭টায়।রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র মুখোমুখি চৈতী