কঙ্গনা রনৌত, আলোচিত অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি এখন ভারতের সংসদ সদস্যও বটে! নিজের ধারালো মন্তব্যের কারণে সবসময় আলোচনায় থাকেন। ভারতজুড়ে এখনও রোজ তার নামে যে কতো এফআইআর হয়, তার হিসেব নেই। কিন্তু এখন রাজনৈতিকভাবে তিনি অনেকটা শক্তিশালী। ‘ইমারজেন্সি’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত। সেই সময়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় পুরনো দিনগুলোর বিষয়ে।
দ্য লালানটপের সাথে সাম্প্রতিক কথোপকথনে ২০২০ সালের একটি বিবৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কঙ্গনাকে। যেখানে তিনি নিজেকে ‘তারকা এবং ‘মাদকাসক্ত’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে এই কঙ্গনা কথা বলেন বিস্তর। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন পরিবারের সঙ্গে থাকেন, তখন নিজেকে সুরক্ষিত অনুভব করেন। কিন্তু যখন আপনি তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হন, তখন বিভিন্ন পরিস্থিতির সংস্পর্শে আসেন। আপনি পৃথিবীকে অন্বেষণ করতে, সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। তখন প্রতিটি জায়গা যা উদ্বেগজনক কিংবা সুন্দর এবং অন্ধকার, সবটাই আপনাকে কৌতূহলী করে তোলে।’
কঙ্গনা বলছেন, তিনি তার পারিপার্শ্বিকতা দ্বারাও প্রভাবিত হয়েছিলেন, কারণ তিনি চলচ্চিত্রের সেটে লোকদের ধূমপান করতে দেখতেন। বলেন, ‘যেহেতু তুমি তরুণ, তুমি খুব খোলা মনের। আপনি যদি আজকের কঙ্গনা এবং তার বিশ্বাসগুলি দেখেন, আপনি কি মনে করেন যে তিনি একই স্তরের সাফল্য অর্জন করতে পারবেন যা তরুণ কঙ্গনা অর্জন করেছিলেন? আমার এরকম মনে হয় না। সেই গুণটা এখন আমার মধ্যে অনুপস্থিত। ১৬ বছরের কিশোরের মতো নিষ্পাপতা এখন আর আমার নেই। এখন আমি পরিণত। আমি ঠিক-বেঠিকের পার্থক্য জানি। এখন আমি জানি এটা একটা অন্যরকম পার্টি, আমি ওটাতে যাব না। কিন্তু ছোট কঙ্গনা তা করতেন না এবং এটাই একমাত্র কারণ যার জন্য আমি কঙ্গনা রনৌত হয়ে উঠেছিলাম।’
এরপর তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, কেন তার অর্জনগুলোও তুলে ধরা হয় না, কেবল সমালোচনা করা হয় এবং অতীতের ভুলগুলোকে বিচার করা হয়। বলেন, ‘আমি মাদক সেবন করি কি করি না, সেদিকে নজর দিচ্ছেন কেন? কেন সেই ১৫ বছর বয়সী মেয়েটির দিকে মনোনিবেশ করছেন না কেউ, যে তার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এরপরেও মদ্যপ, মাদকাসক্ত, আইটেম গার্ল বা উচ্চ সমাজের যৌনকর্মী হয়ে ওঠেনি সে। এই সমাজ আমাকে মাদকাসক্ত-যৌনকর্মী বানাতে চেয়েছিল। সেসব কাটিয়ে আজ আমি যা হয়েছি, তাই হয়ে উঠেছি।’
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস