বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সবচেয়ে বড় মডেল সাকিব আল হাসান সিনেমাও করেছেন! খবরটি বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি। তাই নয়, তার কারণেই সেই সিনেমাটি ভেস্তে যায় শুটিংয়ের মাঝপথে। আর সেটি মুক্তির আলোয় পাখা মেলতে পারেনি।
এমনই এক দুঃখবোধ শেয়ার করলেন সিনেমাটির নির্মাতা রাজিবুল হোসেন।
কিন্তু যেকোনোভাবে সেই খবরটি গণমাধ্যমে ফাঁস হলে অভিনয়ের বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেন সাকিব। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেন সিনেমার বাকি শুটিং।
নির্মাতা আরও বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের মিথ্যাচার নির্মাতা হিসেবে আমাকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তেমনি এটা ছিল একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতি তার অসম্মান। আমি চাইলে তাকে ছাড়া সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না।’
রাজিবুল হোসেন বলেন, ‘সাকিব আল হাসান তখন ফুজিফিল্মের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। ফুজির সঙ্গে সাকিবের চুক্তি ছিল বছরে সুবিধা অনুযায়ী ৮ দিন তিনি তাদের সময় দেবেন। সিনেমা নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে ফুজিফিল্মস আমাদের জানায়, সিনেমার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেবে তারা, সেই সঙ্গে সাকিব আল হাসান অভিনয় করবেন সিনেমায়।’
তাহলে এতদিন পর কেন এই অভিযোগ—এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজিবুল হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে সাকিব আল হাসান কাজটি সে সময় ঠিক করেননি। এটা সবাইকে জানানোর জন্যই এ বিষয় নিয়ে কথা বলা। এ ছাড়া অনেকেই সিনেমা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে নানা কথা বলতো। তাদের সত্যিটা জানানো দরকার। কোনও প্রডাকশন বা পরিচালনাগত দুর্বলতায় নয়, বরং অবাঞ্ছিত ও অনৈতিক একটি ঘটনার কারণে অসমাপ্ত থেকে গেছে সিনেমাটি।’