হৃত্বিক রোশন আর কঙ্গনা রনৌতের পাল্টাপাল্টি আইনি লড়াইয়ের ইস্যুটি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। দু’জনের সম্পর্কের তিক্ততা এতোটাই চরমে পৌঁছেছে যে, সহসা তাদের পারস্পরিক সঙ্কটের অবসান হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় দু’জনের তিক্ততা অবসানের অন্যতম ভরসা একটি অধরা ল্যাপটপ; যার মালিক কঙ্গনা।
হৃত্বিক রোশন ভারতের সাইবারক্রাইম সেলের সহায়তা নিয়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অজ্ঞাত এক প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই ব্যক্তি হৃত্বিকের আইডি ব্যবহার করে তার এক ভক্তের সঙ্গে চ্যাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত মাসে সেই একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন হৃত্বিক। সেখানে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কঙ্গনার নাম উপস্থাপন করেন তিনি। হৃত্বিকের দাবি, সেই প্রতারকই কঙ্গনার সঙ্গে তার পরিচয় দিয়ে চ্যাট করেছেন। আর তাই কঙ্গনাকে এক্ষেত্রে সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
হৃত্বিকের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, সাইবার ক্রাইম সেল এরইমধ্যে কঙ্গনার কাছ থেকে ল্যাপটপটি ফেরত চেয়েছে এবং কঙ্গনা তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, ওই ল্যাপটপটি পাওয়া গেলে জানা সম্ভব হবে যে প্রতারক কোন সূত্র থেকে কঙ্গনার সঙ্গে কথা বলেছেন ও মেইল পাঠিয়েছেন।
অন্যদিকে কঙ্গনার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, সাইবার ক্রাইম সেল তার কাছ থেকে কখনও ল্যাপটপটি চায়নি। বরং গত চারদিন ধরে ক্রাইম সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েও কঙ্গনা ও তার আইনজীবী ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
কঙ্গনা গোটা নাটকীয় পরিস্থিতির অবসান চান বলেও দাবি করেছেন তারা।
/এফইউ/এমএম/