নাটক অধ্যায় শেষে জয়া আহসান যাই করেছেন- তার পুরোটাই পূর্ণদৈর্ঘ্য। দুই বাংলার এই চকচকে রূপালি মুখ এবার আসছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে। জানালেন এমন দৈর্ঘ্যে পা রেখেছেন এবারই প্রথম। নাম ‘ভালোবাসার শহর- দ্য সিটি অব লাভ’।
ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর এই ছোট্ট ছবিতে ঢাকার জয়া আহসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন কলকাতার হৃত্বিক চক্রবর্তী, অরুণ মুখোপাধ্যায় এবং শর্মী সরকার। দিন বিশেক আগে পুরো শ্যুটিং হয়েছে উত্তর কলকাতায়। চলছে সম্পাদনার কাজ। মুক্তি পাচ্ছে আসছে মে-তে।
দু’দেশেই চলছে তার আধা ডজন ছবির কর্মকাণ্ড। এতসব কলরবের মাঝেও জয়া আহসানের আলাদা নীরবতা ‘ভালোবাসার শহর’ নিয়ে! এটা তো আর সৃজিত মুখার্জির ছবি নয়! ইন্দ্রনীলের বানানো ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’তে ছিলেন বটে, তাই বলে… ‘দেখুন আমি আসলে আমার অনুভূতিটা ঠিক প্রকাশ করতে পারছি না। এখানে পরিচালক বিষয় নয়। আগেই বলেছি, এটা আমার মায়ার ছবি। যে ছবিটির গল্পে আমি এখনও হাবু-ডুবু খাচ্ছি। আমি নিশ্চিত জানি, এটি মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের মাঝে অদ্ভুত একটা প্রতিক্রিয়া খেলে যাবে। আমি নিজেও একটা ঘোরের মধ্যে কাজটি শুরু থেকে শেষ করেছি। অপেক্ষা শুধু দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার। আমি চাই এই ছবিটি ছড়িয়ে যাক সর্বত্র।’ বললেন জয়া আহসান।
তবে কি ‘ভালোবাসার শহর- দ্য সিটি অব লাভ’-এ নতুন কোনও জয়াকে পাওয়া যাচ্ছে? যেমনটা আগাম ধারণা করা হচ্ছে অরিন্দম শীলের ‘ঈগলের চোখ’ নিয়ে। খানিক বৈচিত্র মিলেছে সৃজিতের ‘রজকাহিনীতে’ও। নাসির উদ্দিন ইউসুফের ‘গেরিলা’তেও তাই। সাফিউদ্দিন সাফির ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি এক ও দুই’…
থামিয়ে দিয়ে মুঠোফোনের ওপ্রান্ত থেকে জয়ার জবাব ছিলো এমন, ‘দেখুন সবাই বৈচিত্র খোঁজেন। আমি একা নই। আমি আসলে বরাবরই একটা গল্প খুঁজি। গল্প ভালো হলে চরিত্রটা বিষয় না। এখানে (স্বল্পদৈর্ঘ্য) নতুন কোনও জয়াকে পাওয়ার বিষয় নয়। বিষয়টা হচ্ছে নতুন একটা গল্প পাবেন সবাই। যে গল্পটা এখনই আমি বলবো না। যদিও বলতে পারলে হালকা লাগতো! মানবিক এবং অমানবিক দুটো জায়গা থেকেই ছবিটার গল্প এগিয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, ছবিটা যেন তারা দেখেন।’
কিন্তু ২০ মিনিট দৈর্ঘে্যর এ ছবিটি মুক্তির প্রক্রিয়া কী? জয়া জানান, ‘এটা পেশাদারত্বের জায়গায় মুক্তি পাবে না। একটু ভিন্ন কায়দায় মুক্তি পাচ্ছে। সে প্রক্রিয়া চলছে। এমনও হতে পারে আমরা ছবিটি ইউটিউবের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে একসঙ্গে রিলিজ করে দিব। এ নিয়ে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে।’
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/ বাংলা ট্রিবিউন
/এমএম/