কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারকে বলা হয় হিন্দি সিনেমার ‘ট্র্যাজেডি কিং’। ২০২১ সালের ৭ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই অভিনেতা। তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রী সায়রা বানু একটি লেখা শেয়ার করেছেন যা প্রমাণ করে, মৃত্যুর পরেও তাদের বন্ধন কতোটা সুদৃঢ়।
সায়রা স্বামীকে ‘প্রজন্মের পথপ্রদর্শক নক্ষত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রয়াত স্বামীকে কেবল একজন কিংবদন্তি অভিনেতাই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুলে ধরেছেন যে, কীভাবে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং নরসিংহ রাওয়ের মতো রাজনৈতিক মহান ব্যক্তিত্বদের জীবন দিলীপকে স্পর্শ করেছিল। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জীবন দ্বারাও তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
সোমবার ইনস্টাগ্রামে দিলীপ কুমারের বিখ্যাত চলচ্চিত্র এবং তরুণ বয়সের ছবি সম্বলিত একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সায়রা বানু।
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘তাদের ভালোবাসা এবং বার্তাগুলি প্রার্থনার মতো আসে, যা উষ্ণতায় মোড়ানো। আমি কৃতজ্ঞতাভরা হৃদয়ে প্রতিটি চিঠি পাঠ করি এটা ভেবে যে, পৃথিবী এখনও সেই মানুষটির জন্য জায়গা রেখেছে যেখানে সাহেব ছিলেন এবং চিরকাল থাকবেন।’
এই প্রবীণ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘দেখুন, সাহেব কেবল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরো এক যুগ। ছয় প্রজন্মের অভিনেতাদের অনুপ্রেরণা এবং ভবিষ্যতের জন্য পথপ্রদর্শক তারকা তিনি। তিনি ছিলেন মহান রাষ্ট্রনায়ক পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, অটল বিহারী বাজপেয়ী, নরসিংহ রাও সাহেবের সেরা সঙ্গী। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন কিছু তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, শিল্পপতি। সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যায়নি।’
এরপর তিনি লিখেছেন, “তিনি খেলাধুলা ভালোবাসতেন। ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলতেন এমনভাবে যেন তিনি মাঠে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রায়শই বলতেন, ‘যদি ভাগ্য বলে কিছু না থাকত, তাহলে আমি একজন জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ হতাম।’ কিন্তু নিয়তির নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল এবং বিশ্বকে সর্বকালের সেরা অভিনেতা উপহার দিয়েছিল। তবে এসবের বাইরে তিনি ছিলেন একজন কোমল, চমৎকার এবং মজার একজন মানুষ।
সায়রা বানু নোটটি শেষ করে লিখেছিলেন, ‘তিনি সাধারণ মুহূর্তগুলিকে চিরন্তন করে তুলেছিলেন। তার প্রতিটি রসিকতা, প্রতিটি কথা, প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে তিনি কিছু বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। আল্লাহ তাকে নূর এবং করুণায় আচ্ছন্ন রাখুন। আমিন।’
সূত্র: এনডিটিভি