বিজ্ঞাপন এবং নাটকের সফল এ বিজ্ঞাপন নির্মাতা জানান, ডাবিং বাকি শুধু পার্থ বড়ুয়ার। কারণ তিনি এতদিন অসুস্থ ছিলেন। এ সপ্তাহের মধ্যে তার অংশের কাজ শেষ হয়ে যাবে। সম্পাদনাও শেষ হচ্ছে একই সময়ে। অমিতাভ রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রিহার্সেল ও শ্যুটিং থেকে শুরু করে আমাদের সবকিছু হচ্ছে একেবারে রুটিন ধরে। সে হিসেবে জানুয়ারির পুরোটা আমি ব্যয় করব ছবিটির সাউন্ড, কালার কারেকশন এবং পোস্ট প্রোডাকশন নিয়ে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সেন্সরবোর্ডে জমা দিব। আশা করছি, অল্প সময়েই ছাড়পত্র পেয়ে যাব। আর মার্চের যেকোনও এক শুক্রবার ছবিটি সবার কাছে পৌঁছাতে চাই।’
‘আয়নাবাজি’র গল্পটা কেমন? ছবিতে মূলত তিনটি চরিত্র। চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা এবং পার্থ বড়ুয়া। তবে এই তিন চরিত্রের মধ্যে ‘আয়নাবাজি’র গল্পের শুরুটা ‘আয়না’ নামের চঞ্চলকে ধরেই।
‘আয়নাবাজি’ সেই শহরের গল্প শুনাবে, যে শহরে এখনও সকালে দুধওয়ালা আসে, ফেরিওয়ালারা হাঁকডাক দেয়, বাচ্চারা দল বেঁধে নাটক শিখতে যায়। মহল্লার চা-পুরির দোকানে ঠাট্টা-মশকরা করে বেকার-বখাটেরা। ‘আয়না’ সেই শহরের একজন বাসিন্দা। যার সঙ্গে সহজাত প্রেম হয়ে যায় ‘হৃদি’ নামক নাবিলার।
একটা সময় আয়না আটকে পড়ে নষ্ট শহরের বেড়াজালে। গল্পে আসেন সাংবাদিক রূপে পার্থ বড়ুয়া। অমিতাভের ভাষায়, ‘এ গল্পে দেখা যাবে শহরের ভেতরে আরেকটা শহর, যার গল্প এখন আমরা আর শুনি না। এটা এই শহরের প্রেম ও পলিটিক্সের ছবি। এখানে গল্প-গান, প্রেম-বিরহ, খারাপ-ভালো সবকিছুকে পাশাপাশি হাঁটানোর চেষ্টা করেছি। শেষ বিচারে বাণিজ্যের বাইরে তো কিছু নেই। অর্থহীন কিছু করার ইচ্ছা এবং অভিজ্ঞতা আমার খুবই কম।’
‘আয়নাবাজি’র চিত্রনাট্য লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম শাওন। কনটেন্ট ম্যাটার্সের প্রযোজনায় এতে আরও অভিনয় করছেন লুৎফর রহমান জর্জ, হীরা চৌধুরী, শওকত ওসমান, গাউসুল আলম, ইফফাত তৃষা প্রমূখ।
/এমএম/