‘ইত্যাদি’ শুধুমাত্র একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানই নয়। সেইসাথে এতি শিক্ষণীয়ও বটে। এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সাজানো হয় নির্দিষ্ট কিছু বার্তা দিয়ে। যা সমাজের সকল মানুষকে সচেতন হতে সাহায্য করে।
এবারের ঈদে ‘ইত্যাদি’তে যে পর্বগুলো থাকছে, সেগুলোও সমাজকে সচেতন করতে বার্তা দেবে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারে থাকছে বিশেষ মিউজিক্যাল ড্রামা।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তি নির্ভর। জীবনের সব ক্ষেত্রে এখন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে, এর সঠিক ব্যবহার না করতে পারার কারণে তেমনি বিপদেও পরছে মানুষ। মনযোগের অভাব, বিষন্নতাসহ বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা। এমনকি প্রযুক্তির অপব্যবহারে ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষ নানা ধরণের বিপদেও পড়ছে।
এই বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে তিনটি ভিন্ন ঘটনা, গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিন জনপ্রিয় দম্পতি। তারা হলেন, শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী, এফ এস নাঈম-নাদিয়া আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ দম্পতি।
মূলত সবাইকে সচেতন করতেই তৈরি করা হয়েছে সচেতনতামূলক এই মিউজিক্যাল ড্রামা। মজার পর্বের মধ্য দিয়ে এটি উপস্থাপন করা হবে ইত্যাদিতে।
এছাড়াও একটি মিউজিক্যাল ড্রামায় কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু। তিনি নিজেও এখানে অভিনয় করেছেন।তার সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী, আনোয়ার শাহী ও র্যাপ শিল্পী মাহমুদুল হাসান।
গানের বিষয়বস্তু এমন, মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে সংসারের ঘানি টানতে টানতে অনেকেরই জীবন অতিষ্ঠ। তেমনি এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি ঘরে-বাইরে, অফিসে-রাস্তায় অতিষ্ঠ হয়ে জীবনের সব ক্ষোভ উগরে দেন গানের মাধ্যমে।
এবারের মিউজিক্যাল ড্রামাগুলোতে চারটি ভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে যা খুবই শিক্ষণীয়।
বলা দরকার, প্রতিবারের মত এবারও ঈদে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘ইত্যাদি’ প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর।
বরাবরের মতোই ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।