নিজামীর ফাঁসি: ইউরোপের নীরবতার সমালোচনায় এরদোয়ান

জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এবার এ ইস্যুতে ইউরোপের নীরবতার কঠোর সমালোচনা করলেন তিনি। এরদোয়ানের ভাষায়, মৃত্যুদণ্ড ইস্যুতে এটা পশ্চিমাদের ‘দ্বৈত নীতি’।

রবিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি রাজনৈতিক মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী হন, তাহলে মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে কেন এখনও চুপ করে আছেন; যিনি কয়েকদিন আগে শহীদ হয়েছেন।’

এরদোয়ান প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনারা কি ইউরোপ থেকে কিছু শুনেছেন? ... না। এটাকে কি দ্বৈত নীতি বলে না?’

এর আগে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় তুরস্ক। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি’র খবরে বলা হয়, ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেউরিম ওজতুর্ককে নিজামীর ফাঁসির বিষয়ে আলোচনার জন্য আঙ্কারায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার পর ঢাকা থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তুর্কি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের তথ্যটি সঠিক নয়। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেউরিম ওজতুর্ক কয়েক দিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে জানান, ১২ মে তিনি ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন। তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করবেন, সেটিও তিনি উল্লেখ করেছেন। তা ছাড়া কোনও দেশ তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথা। তুরস্ক তেমন কিছু বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।

উল্লেখ্য, ১০ মে ২০১৬ দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর থেকেই অব্যাহতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছে তুরস্ক।

/এমপি/