ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে গণভোটে তাজিকিস্তান

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে তাজিকিস্তানে গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার (২২ মে) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ হলে তাজিকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনের ক্ষমতা আরও পোক্ত হবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা পাওয়া তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সম্পর্ক ভালো নয়। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি দেশটির ক্ষমতায় আছেন।

১৯৯৭ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর সরকার ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত বছরই দেশটিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী হলেও তাজিকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামো সেক্যুলার।  

তবে এই গণভোটে ধর্মীয় দলগুলো নিষিদ্ধের বিষয়টিই একমাত্র ফয়সালার বিষয় নয়। পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার সময় নিয়েও মতামত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বয়স কমানোর বিষয়েও জনগণ ভোট দেবেন।

বিবিসি জানিয়েছে, গণভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৩০ করার বিষয়েও জানতে চাওয়া হবে। বয়স কমানোর বিষয়টি গণভোটে উতরে গেলে আগামী ২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের ছেলে রুস্তম (২৯) অংশ নিতে পারবেন।

জানা গেছে, তাজিকিস্তানের গণভোটের ব্যালটে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘আপনি সংবিধান সংশোধন ও সংযোজন সমর্থন করেন কি না?’ এই প্রশ্নে তাজিক জনগণ হ্যাঁ বা না ভোট দেবেন। এর ভিত্তিতেই তাজিকিস্তানের সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

সূত্র: ফক্সনিউজ।

আরও পড়ুন: 

তালেবান প্রধান নিহতের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শেখ হাসিনা





দুই বছরের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত!

/এসএ/