বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলীর স্মৃতিতে কিংবদন্তী বক্সার আলী

মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে নিজের ছবি দেখাচ্ছেন আলী১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় অসহায় বাংলাদেশিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়ে নিউ ইয়র্কের মেডিসন স্কয়ারে আয়োজন করা হয়েছিল কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। সে সময় বিশ্বখ্যাত কিংবদন্তী বক্সার এবং সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ আন্দোলনের জোরালো কণ্ঠস্বর মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দেখা হয় বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলীর। এরপর দুজনের বন্ধুত্ব।
১৯৭৮ সালে মোহাম্মদ আলী যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন তখন এ বাংলাদেশি বন্ধুর বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। এবার বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলী গিয়েছেন বিশ্বজনীন বক্সারের জন্মশহর লুইসভিলেতে। তবে এবার আর দুজনের কথা হওয়ার সুযোগ নেই। অকৃত্রিম এ বন্ধু চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বন্ধুকে তাই বিদায় জানাতে বাংলাদেশ থেকে কানাডা হয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দিয়েছেন বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলী। যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ আলীর শেষকৃত্যে।
বন্ধুর জন্য নিজের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করানোর কাজটিও আপাতত স্থগিত করেছেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লুইসভিলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কুরিয়ার জার্নাল।
বক্সার মোহাম্মদ আলী
প্রতিবেদনে বলা হয়, কিংবদন্তী বক্সারের সঙ্গে নিজের স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন আলী। তার হাতে ছিল ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ খ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি। বাংলাদেশের আলী জানান, ব্যক্তিগতভাবে হোক কিংবা মেয়ের মাধ্যমে হোক, অনেক বছর ধরেই মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তিনি বলেন, ‘আলী আমার বাড়িতে ঘুমিয়েছেন। আমরা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তার বাবা-মায়ের সঙ্গেও আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল।’

বাংলাদেশের মোহাম্মদ আলী
দুজনের নামের উচ্চারণ এক হলেও ইংরেজী নামের বানানে সামান্য ভিন্নতা রয়েছে বলে জানান আলী। একজনের নামের শুরু এমইউ দিয়ে আর আরেকজনের এমও দিয়ে।

মোহাম্মদ আলী তার সঙ্গে দেখা করার জন্য আবারও বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন বলে জানান বাংলাদেশের আলী। কিন্তু বন্ধুটি শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি বলেও জানান তিনি।

আলী আরও জানান এতো কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসাটা সহজ ছিল না। কিন্তু তার কানাডার নাগরিকত্ব থাকার কারণে শুরুতে সেদেশে গিয়ে পরে ভিসা ছাড়াই লুইসভিলেতে যেতে পেরেছেন তিনি। সূত্র: কুরিয়ার জার্নাল

/এফইউ/