যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে ট্রাম্পের নতুন ব্যাখ্যা

ডোনাল্ড ট্রাম্পমুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে আবারও নিজের দেওয়া প্রস্তাবের নতুন ব্যাখ্যা হাজির করলেন মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  তার মুখপাত্র হোপ হিকস দাবি করেছেন, ট্রাম্প কেবল চরম সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা মুসলিমদেরই নিষিদ্ধ করতে চান, সব দেশের মুসলিমদের নয়।
ট্রাম্প সিরিয়া-ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বহুদিন থেকেই সমালোচিত হয়ে আসছেন। গত নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন। আর এর পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। নিজ দেশ এমনকি নিজের দল রিপাবলিকানের সদস্যদের পক্ষ থেকেও ওই বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
বর্তমানে দুইদিনের সফরে স্কটল্যান্ডে অবস্থান করছেন ট্রাম্প। সেখানে মুসলিমদের বিষয়ে অবস্থান প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, স্কটল্যান্ড থেকে মুসলিমরা যুক্তরাষ্ট্রে গেলে সেক্ষেত্রে তার কোনও সমস্যা নেই।
ট্রাম্প
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর পরই তার মুখপাত্র হিকস ইমেইলে ট্রাম্পের অবস্থানের ব্যাখ্যা দেন। হিকস-এর দাবি, গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব উত্থাপন করার সময় ট্রাম্প উল্লেখ করেননি তিনি কোন দেশের মুসলিমদের কথা বলছেন। এবারে সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেছেন তিনি। ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত রাষ্ট্রগুলো থেকে আসা মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তবে ওইসব রাষ্ট্র থেকে আসা অমুসলিমদের বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত জানাননি হিকস।

স্কটল্যান্ড সফরকালে ব্রেক্সিট সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন না এর কোনও প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পড়বে। স্কটল্যান্ডে ট্রাম্প কোনও আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন না করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গণভোটের প্রস্তাবকে উড়িয়ে দেন ও স্কটিশ স্বাধীনতার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

এর আগে মুসলিম প্রশ্নে ট্রাম্প তার ডিসেম্বরের ঘোষণার ব্যাপারে সুর খানিক নরম করেছিলেন। গত ৭ মে (শনিবার) লন্ডনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন সাদিক খান। একইসঙ্গে তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়রও। সে সময় টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ধর্মবিশ্বাসের কারণে তিনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানকার মেয়রদের কাজ দেখার আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে সাদিকের ব্যাপারে ট্রাম্পের অবস্থান কী হবে সে ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক টাইমসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়। ট্রাম্প বলেন,সাদিক খান লন্ডনকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন বলে তিনি অত্যন্ত সুখী বোধ করছেন। লন্ডনের সদ্যনির্বাচিত মুসলিম মেয়র সাদিক খান নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন বলে জানান ট্রাম্প। 

সূত্র: এনডিটিভি

/ইউআর/এফইউ/