জার্মানির আনসবাখ শহরে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণকারী সিরীয় বংশোদ্ভূত বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। বিস্ফোরণে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যে ব্যক্তি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে নিহত হয়েছে।’ ২৭ বছরের ওই ব্যক্তি সিরীয় বংশোদ্ভূত। বিস্ফোরণে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ন্যুরেমবার্গের নিকটবর্তী আনসবাখ শহরে রবিবার (২৪ জুলাই) রাতে ওই সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ব্যক্তি এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানা গেছে। এর আগে তার অভিবাসনের আবেদন সাময়িকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
একটি সঙ্গীত উৎসবের ঢোকার মুখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আনসবাখের মেয়র কারডা সেইডেল জানিয়েছেন, ওই উৎসবে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
বোমা বিস্ফোরণের সময় ওই ব্যক্তির কাঁধে একটি ব্যাগ ঝোলানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি সেখানেই রাখা ছিল। পুলিশের এক মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, তাদের ধারণা, ওই ব্যক্তি একাই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তারা এর সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসী সংযোগ খুঁজে পাননি। তবে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশী সিরীয় যুবকের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
বাভারিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘এ ধরণের ঘটনা রুখতে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও জানান, ওই সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী দুই বছর আগে জার্মানিতে প্রবেশ করে।
উল্লেখ্য, দুইদিন আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মিউনিখের একটি রেস্টুরেন্ট ও শপিং সেন্টারে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। ৯ জনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন ১৮ বছর বয়সী ওই ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান তরুণ। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হামলার সঙ্গেও কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, হামলাকারী উগ্র ডানপন্থী মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল।
এর আগে গত সোমবার জার্মানির একটি ট্রেনে এক আফগান শরণার্থী কিশোর কুঠার হামলা চালায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জার্মানিতে কুঠার হামলাটি ছিল জঙ্গি আদর্শে অনুপ্রাণিত। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। ওই হামলাটির দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
/এসএ/