বিয়ের দিনটি কেঁদেই কাটিয়েছেন নাদিয়া

রান্নার প্রতিযোগিতা ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ বিজয়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নাদিয়া হুসেইন বলেছেন, বিয়ের দিনটি ছিল তার জীবনের ‘সবচেয়ে খারাপ’ দিনগুলোর একটি। তার নতুন প্রামাণ্যচিত্র, ‘দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া’তে তিনি জানান, পুরো দিনটি তিনি চোখের জলে ভাসিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর-এর এক প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে আসে।

স্বামী আবদালের সঙ্গে নাদিয়া হুসেইন

আবদালের সঙ্গে বিয়ের সময় নাদিয়ার বয়স ছিল ১৯ বছর। ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনে জন্ম হয় তিন সন্তানের।

বিয়ের দিনটি সম্পর্কে নাদিয়া বলেন, ‘আমাকে বলতেই হচ্ছে, বিয়ের দিনটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিনগুলোর একটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক অঘোষিত রীতি হলো, নবববধূকে বিনয়ী এবং বিষণ্ন দেখাতেই হবে। আমি ছিলাম আবেগাপ্লুত আর পুরো বিষয়টিকে ঘিরে আমি কাঁদছিলাম। আমার মুখে খুব একটা হাসি ছিল না। ওই অবস্থায় আমাকে রীতিমতো অভিনয় করতে হচ্ছিল। আর এটা ছিল আমার জন্য খুবই অস্বস্তিকর। নববধূকে বেশিরভাগ সময় মাথা নীচু করে রাখতে হবে। এই বিষয়টি আমার বোধগম্য হয় না। বিয়ের দিনে যখন তার সুখী হওয়ার কথা, তখন নববধূকে অসুখী দেখাতে হবে। এটা খুবই উদ্ভট।’

৩১ বছর বয়সী নাদিয়া জানান, তার বিয়েটি ছিল পারিবারিকভাবে নির্ধারিত। তবে তিনি তার সন্তানদের ক্ষেত্রে এমনটা ‘স্বপ্নেও’ ভাবেন না। তিনি বলেন, ‘এখনকার আমি যদি সে সময়ে থাকতাম, তাহলে কখনোই সেই চুক্তিতে যেতাম না। কোনও বন্ধকী চুক্তিতে আমি কতো টাকা দিচ্ছি আর তার ধরণটা কেমন, তা না জেনে যদি আমি বন্ধকীতে রাজি না হই, তাহলে বিয়ের চুক্তিতে না জেনে-শুনে আমি কীভাবে রাজি হতাম?’

এর আগে নাদিয়া জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে মাত্র একবারই দেখা করেছিলেন। আর সেদিনই তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে বিবিসি ওয়ান টেলিভিশনের জনপ্রিয় বেকিং অনুষ্ঠানে বিজয়ী হন নাদিয়া হুসেইন। দেড় কোটি দর্শক ওই অনুষ্ঠান দেখেছিলেন। জানুয়ারিতে খ্যাতনামা একটি ব্রিটিশ পত্রিকা তাকে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।  

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

/এসএ/