বালিতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় ব্রিটিশ নাগরিকের স্বীকারোক্তি






5000

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত ব্রিটিশ নাগরিক। তার আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযুক্ত ডেভিড জেমস টেইলরের আইনজীবী হ্যাপোসান সিয়মবিং বলেছেন, তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তারই বাইনোকুলার, একটি বিয়ারের বোতল ও একটি মোবাইল ফোন দিয়ে আঘাত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল ঘটনাটির জন্য দুঃখিত এবং তিনি তা স্বীকার করেছেন।’ তবে টেইলর নিজে গ্রেফতার হওয়ার পর কোন গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেননি।

অভিযোগের প্রমাণ মিললে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

পুলিশ জানায়, টেইলর তার অস্ট্রেলিয়ান বান্ধবী সারা ক্যাননকে ট্রাফিক কর্মকর্তা হত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েন সুদারাসার দেহ উদ্ধার করা হয়।   আইনজীবী আরও জানান, টেইলর ধারণা করেছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার বান্ধবী সারার ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকেই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন টেইলর। বুধবার ভোর বেলায় বালি সৈকতে চুমু খাওয়ার সময় ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেন এই যুগল।   

টেইলরের আইনজীবী আরও জানান, ব্যাগের বিষয়ে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েন ধাক্কা দিয়ে টেইলরকে মাটিতে ফেলে দেন। সারা ক্যাননের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না, তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাননের আইনজীবীদের আরেকজন জানান, টেইলর প্রথম থেকেই ধারণা করছিলেন ওয়েন প্রকৃতপক্ষে পুলিশ সদস্য নন, তিনি ক্যাননকে বারবার নিজের পকেট পরীক্ষা করে দেখতে বলছিলেন। তিনি ওয়েনকে ছিনতাইকারী ভেবেছিলেন। সারা ক্যানন আরও জানান, তিনি ডেভিড টেইলরকে বারবার ওয়েনকে ঘুষি মারতে দেখেছেন। তবে ডেভিড ওয়েনকে কয়বার মেরেছেন বা কী দিয়ে আঘাত করেছেন তা দেখেননি তিনি।

এরপর তিনি সৈকত ত্যাগ করেন ও একটি ট্যাক্সি ধরে থানায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। হারানো ব্যাগের বিষয়ে অভিযোগ করতেই থানায় যেতে চেয়েছিলেন সারা। কিন্তু ট্যাক্সিচালক সারার রক্তে ভেজা পোশাক দেখে তাকে ট্যাক্সিতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। 

ক্যানন বলেন, পরে টেইলরের সঙ্গে রাস্তায়ই দেখা হয় তার। টেইলর জানান, ওই ব্যক্তি মার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েছেন। সারার আইনজীবী জানান, এ কথা জেনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন সারা। তিনি জানতেনও না যে ওই পুলিশ কর্মকর্তা পরে মারা গেছেন।

সূত্র গার্ডিয়ান

/ইউআর/বিএ/