টুইটারে ‘আট ঘণ্টার অব্যাহত ঘৃণার’ শিকার ব্রিটিশ নারী

793

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশ নারী। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ওই নারীর অভিজ্ঞতার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, টুইটারে আট ঘণ্টা ধরে ভয়াবহ রকমের বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছেন ওই নারী।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডের বাসিন্দা হলেও মিশেল পরবর্তীতে আয়ারল্যান্ডে স্থিতু হন। টুইটারে তিনি নিজেকে একজন মা, ব্লগার এবং প্লাস-সাইজ মডেল হিসেবে পরিচয় দেন। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, @Ireland নামের একটি টুইটার একাউন্ট রয়েছে আয়ারল্যান্ডে যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন মানুষেরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। মিশেল মারি নামের ওই নারী সেই একাউন্টটিই ব্যবহার করছিলেন। বলছিলেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

তবে সেখানে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই বর্ণবৈষম্যের শিকার হন তিনি। নিজের পরিচয় ও ছবি দিয়ে আইডি চালু করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বর্ণবাদী মন্তব্য আসতে শুরু করে তার পোস্টে। বর্ণবাদী মন্তব্যের বিরুদ্ধে মিশেল লেখেন, ‘কারো ওজন বেশি তার মানে এই নয় সে সুন্দর বা যোগ্য বা সুখী হতে পারবে না।’

কিন্তু তার এই সাহসী উচ্চারণও সামাজিক মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার বন্ধ করতে পারেনি। অবশ্য তিনি এ নিয়ে সমর্থনও কম পাননি। অনেকেই তার পক্ষে দাঁড়িয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যগুলোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার পরামর্শও দেন।

কিন্তু দিনের শেষে নেতিবাচক মন্তব্যকারীদেরই জয় হয়।

‘৮ ঘণ্টা ধরে অব্যাহত ঘৃণার শিকার হয়েছি।’মিশেল জানান, তিনি এতখানি বর্ণবাদ,লৈঙ্গিক বৈষম্য, বিদ্বেষ, স্থূলতা নিয়ে এতখানি ঘৃণার শিকার এর আগে কোনদিন হননি।

মিশেল গার্ডিয়ানকে বলেন,পুরো অভিজ্ঞতাটিই ছিলো বিপর্যস্ত করার মতো।

 

সূত্র গার্ডিয়ান

/ইউআর/বিএ/