দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় কুরিল দ্বীপমালার সর্ব দক্ষিণের দ্বীপগুলো দখল করে নেয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জাপানে এ দ্বীপগুলো উত্তরাঞ্চলীয় ভূখণ্ড নামে পরিচিত।
সংবাদমাধ্য ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘আমরা এক ধরনের বিনিময় বা বিক্রির কথা বলছি না। আমরা এমন সমাধানের কথা বলছি যাতে কোনও পক্ষই নিজেকে পরাজিত বা ক্ষতিগ্রস্ত ভাববে না।’
পুতিন বলেন, জাপানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরই ‘মূল বিষয়’।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কো আমাদের জাপানি বন্ধুদের সঙ্গে এই সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে বের করতে খুবই আন্তরিক।
পুতিন আগামী ডিসেম্বরে জাপান সফরের ঘোষণা দেবার পর আবে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। এটি হবে চলতি বছর তার দ্বিতীয় রাশিয়া সফর।
ডিসেম্বরে পুতিনের সফর হবে ২০০৫ সালের পর তার প্রথম জাপান সফর।
রাশিয়া ও জাপান অতীতে বেশ কয়েকবার দ্বীপ নিয়ে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত সমাধান অধরাই থেকে গেছে।
উভয় পক্ষই নিশ্চিত করেছে যে, শুক্রবারের বৈঠকে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের ইস্যুটি আলোচিত হবে।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় একটি অর্থনৈতিক ফোরামের ফাঁকে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। ওই বৈঠকে রওয়ানা হওয়ার আগে আবে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আন্তরিক ও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তি এবং ভূখণ্ডগত বিষয়াদির ব্যাপারে অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করবেন। সূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ।
/এমপি/