ট্রাম্প আর আইএস-এর দর্শনে মিল পেলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান





nonameজাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল হোসেইন মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর (ইসলামিক স্টেট) দর্শন আলাদা হতে পারে, তবে তাদের কর্মকাণ্ডে মিল রয়েছে। হেগে ‘পিস, জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি’ ফাউন্ডেশন’-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের প্রতি নিজের এমন মনোভাবের কথা জানান জেইদ রাদ আল হোসেইন। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।


জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি দায়েশ (আইএস)-এর নৃশংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের কর্মকাণ্ডকে মেলাচ্ছেন না। তবে তাদের দর্শনের সাদৃশ্য রয়েছে।
ট্রাম্প ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রিয় রাজনীতিকদের বিরুদ্ধেও জেইদ রাদ আল হোসেইন একই ধরনের অভিযোগ করেন। সে সময় তিনি বিশেষভাবে নেদারল্যান্ডসের ডানপন্থী রাজনীতিক গির্ট উইলডার্সের নাম উল্লেখ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ডেমাগগ (ডেমাগগ একটি রাজনৈতিক পরিভাষা। এর মধ্য দিয়ে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন ও ক্ষমতা দখলে যুক্তির বদলে জনপ্রিয় ভাষা-ধারণা ব্যবহার করা হয়।)দিয়ে জনগণকে ক্ষেপানোর অভিযোগ করেন তিনি।
গির্ট উইলডার্সের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেইদ রাদ আল হোসেইন বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল সর্বত্র ‘আত্মরক্ষা এবং প্রত্যেক ব্যক্তির মানবাধিকার উন্নয়নে’ কাজ করা। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই রাগান্বিত।কারণ গির্ট উইলডার্সের দক্ষতাপূর্ণ মিথ্যা এবং অর্ধসত্য বক্তব্য ভীতিসঞ্চার করছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেন, তিনি বলকান অঞ্চলে ২০ বছর ধরে শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এ সময় তিনি প্রতারণা, ধর্মান্ধতা এবং নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তাবাদ থেকে নির্গত সংঘাতের নিষ্ঠুরতা প্রত্যক্ষ করেছেন।
চলতি বছরের আগস্টে নেদারল্যান্ডসে এক উগ্রপন্থী প্রচারণা শুরু করে দেশটির ডানপন্থী রাজনীতিক গির্ট উইলডার্স-এর দল ফ্রিডম পার্টি। আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে ওই প্রচারণায় ‘নির্বাচিত হলে মসজিদ ও ইসলামিক স্কুল বন্ধ এবং কোরআন নিষিদ্ধ’ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন গির্ট উইলডার্স।
গির্ট উইলডার্স-এর এমন অবস্থানকে উদ্ভট হিসেবে আখ্যায়িত করেন জেইদ রাদ আল হোসেইন। এ সময় তিনি ডাচ রাজনীতিক গির্ট উইলডার্সকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেন, এই রাজনীতিকদের সঙ্গে দায়েশের দর্শনের মিল রয়েছে। জিহাদিদের যোগাযোগের কৌশলও এই জনপ্রিয় রাজনীতিকদের মতোই। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এরা উভয়েই পরস্পরের কাছ থেকে লাভবান হয়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এমপি/বিএ/