সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ফরাসি দ্বীপে বুরকিনি নিষিদ্ধ

ফ্রান্সের সৈকতে বুরকিনি পরিহিত মুসলিম নারীফ্রান্সের করসিকা দ্বীপের একটি আদালত জানিয়েছেন, বুরকিনির ওপর স্থানীয় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। গত মাসে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতের বুরকিনি নিষিদ্ধের ওপর স্থগিতাদেশের পরও নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ আসলো।
মুসলিম নারীদের সাঁতারের পোশাককে বুরকিনি বলা হয়। এটি মুখমণ্ডল ছাড়া নারীদের শরীরকে আবৃত রাখে।


মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) করসিকার স্থানীয় বাস্তিয়া আদালত ফ্রান্সের মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস লীগ-এর বুরকিনি নিষিদ্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে ‘জনগণের অনুভূতির দোহাই দিয়ে’ বুরকিনি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর রাখা হচ্ছে।  
গত মাসে এক সৈকতে উত্তর আফ্রিকার এক পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় এক পরিবারের সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। এর পরই সিসকো গ্রামের মেয়র অ্যাঙ্গে-পিয়েরে ভিভোনি বুরকিনি নিষিদ্ধ করেন। আদালতের রায়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বুরকিনি পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতে আপিল করে হিউম্যান রাইটস লীগ। ওই আপিলের ভিত্তিতেই বুরকিনির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়, ওই নিষেধাজ্ঞা মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতা ও কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

সম্প্রতি নিস শহরের এক নারী প্রমেনাদে দেজ অ্যাংলেইসে সৈকতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর্মড পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে স্কার্ফ খুলতে বাধ্য করে। ওই নারীর পরনে ছিল নীল স্কার্ফ, লেগিংস এবং টিউনিক। তাকে পুলিশ জরিমানাও করেছে। তার জরিমানার রশিদে লেখা হয়, তিনি ‘সেক্যুলারিজম এবং ভালো নৈতিক বোধসম্পন্ন’ পোশাক পরেননি। এই ঘটনার পরই বুরকিনি নিষিদ্ধের বিতর্কটি আরও তীব্র হয়।

সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/বিএ/