নৌ-মহড়ায় উ. কোরিয়াকে জবাব দিল যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়া

US korea

জাপান সমুদ্রে যৌথভাবে নিজেদের শক্তি জানান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার জবাবে এই দুই দেশের নৌবাহিনী এই মহড়া চালায়।

সোমবারের এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানে মিসাইল অকেজো করার প্রদর্শনী করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের এত কাছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এ ধরনের যৌথ মহড়া এই প্রথম ঘটলো। জাহাজ গুলো দীর্ঘ বিস্তার, নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও স্থল হামলার উপযোগী ক্ষেপণাস্ত্রে সুসজ্জিত ছিলো।

এর আগে এই মাসের শুরুতে ওশান বিমান ঘাঁটির ওপর দিয়ে উড়ে যায় বি-ওয়ান বিমান, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের দক্ষিণ দিয়ে উড়ে যায় বিমানটি। উত্তর কোরিয়ার সফল মিসাইল পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় এই বিমান ওড়ানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর কোরিয়ায় নিয়োজিত দলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিন ব্র্যাড কুপার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আমাদের আরওকে সহকর্মীদের সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করছি। উস্কানি ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাবো।’  

সোমবারের মহড়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মিসাইল প্রতিরক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার। একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর মোকাবেলা পদ্ধতি’ বলেও অভিহিত করা হয়। এইজিস নামের এই পদ্ধতি একসঙ্গে ১০০ লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে সক্ষম। জলপথে ব্যালিস্টিক মিসাইল অকেজো করার এটাই একমাত্র পদ্ধতি। 

এ বছর উত্তর কোরিয়া ডুবোজাহাজ থেকে চালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বর্ধিত করেছে। গত আগস্ট মাসে প্রায় ৩০০ মাইল বা ৫০০ কিলোমিটার চালানো হয়েছে যাকে পিয়ংইয়ং থেকে সাফল্য হিসেবে দাবি করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং ‘সর্বকালের সর্বোচ্চ গতিশীল’ ব্যালিস্টিক মিসাইল চালনার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। 

এদিকে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রি ইয়ং হো বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কাছে নিজেদের প্রতিরক্ষার স্বার্থে পারমাণবিক পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।’  

সূত্র: সিএনএন

/ইউআর/বিএ/