ব্রেক্সিটের ১০০ দিন: এখনও অস্পষ্ট অনেক বিষয়

nonameব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের ব্যাপারে ভোটাভুটি হয় ২০১৬ সালের ২৩ জুন। ওই ভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ ভোটাররা। সে গণরায়ের প্রায় ১০০ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কিন্তু এ সময়ে ঠিক কতটুকু এগিয়েছে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের প্রক্রিয়া? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, এই প্রক্রিয়ার অনেক বিষয়েই এখনো অস্পষ্টতা বিদ্যমান রয়েছে।

কখন ও কিভাবে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ত্যাগ করবে সে পরিকল্পনার ব্যাপারে তারা এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

এর আগে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ‘বেক্সিট মানে বেক্সিট’ এবং তিনি ব্রিটেনের জন্য সর্বোত্তম চুক্তি চাইবেন। তবে তার সরকারের কর্মকৌশলের বিষয়ে তিনি কোনও ‘ধারাবর্ণনা’ দেবেন না।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহে বলেছেন, দেশটি ইইউ’র লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ-৫০ কার্যকর করতে আগ্রহী। এই চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের গোড়ার দিক থেকে দু’ বছরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

noname

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ডাউনিং স্ট্রিটের দফতর সম্প্রতি এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পুনরাবৃত্তি করে বলা হয়েছিল, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে ব্রেক্সিট কার্যকর হবে না।

লন্ডনে আলোচনার পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ জানান, তারা কিভাবে ও কখন অনুচ্ছেদ-৫০ কার্যকর করবেন সে ব্যাপারে ব্রিটেন এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে তিনি মনে করেন।

মার্টিন শুলজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য নেতারা চান, ব্রিটেন এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। এক্ষেত্রে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অনিশ্চয়তা হচ্ছে এক ধরনের অসহযোগিতা।

এদিকে আগামী বছর ফ্রান্স ও জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটিও ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

/এমপি/