শ্রীলঙ্কাও যাচ্ছে না সার্ক সম্মেলনে

ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ১৯তম সার্ক সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও আফগানিস্তান।

শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মনে করে এ অঞ্চলের বিদ্যমান পরিবেশ ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠানের পক্ষে সহায়ক নয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে সফলতার জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলঙ্কা আশা করে, এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি পরিবেশ তৈরি হয়।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে বলা হয়, ‘একটি দেশ’ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা সার্ক সম্মেলন সফল হওয়ার জন্য সহায়ক নয়। ভারতের পক্ষ থেকে সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান নেপালের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, এ অঞ্চলে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি এবং একটি দেশের দ্বারা অন্য সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বাড়ছে। এর ফলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা ২০১৬ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সফল সার্ক সম্মেলনের জন্য সহায়ক নয়। বিরাজমান পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদে প্রস্তাবিত সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণের ভারত সরকার অপারগ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত এটা অনুধাবন করতে পারছে যে, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সার্কের অন্য সদস্য দেশগুলোও তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের সেনাঘাঁটিতে চলতি মাসের ১৮ তারিখের হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক চরমে পৌঁছায়। মূলত এর প্রেক্ষিতেই ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশও আসন্ন সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান নেপালকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তেক্ষেপকে দায়ী করেন।

আগামী ৯ থেকে ১০ নভেম্বর ইসলামাবাদে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এতে অংশগ্রহণে একাধিক দেশের আপত্তির মুখে সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ-কে উদ্ধৃত করে দেশটির গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।

/এমপি/