এক বাংলাদেশি নাগরিক কিভাবে ‘জঙ্গি’ হলো জানতে চায় মার্কিন কংগ্রেস

111এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি জঙ্গির তথ্য জানতে অভ্যন্তরীণ তৎপরতা শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।  সম্প্রতি এফবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই বাংলাদেশি নাগরিক ঠিক কী করে জঙ্গি হয়ে উঠলেন, তার বিস্তারিত জানতে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির তরফ থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নাগরিকের নাম বলা হচ্ছে নিলেশ মোহাম্মদ দাশ। অভিযোগ রয়েছে, নিলেশ মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পক্ষে এক মার্কিন কর্মকর্তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে তার নাম-পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছিল। মার্কিন কংগ্রেস সদস্য এবং হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান বব গুডলাটে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সচিব জেহ জনসনকে চিঠি দিয়ে তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।
৬ অক্টোবরে লেখা ওই চিঠিতে গুডলাটে লিখেছেন, ‘হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির জন্য এটা বোঝা জরুরি যে, কীভাবে নিলেশ জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত হয়েছে আর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের কাছে আগে থেকে এমন কোনও তথ্য ছিল কিনা, যা থেকে তার গ্রেফতারের আগে থেকেই তার জঙ্গিবাদী হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়।’
উল্লেখ্য, নিলেশ ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একজন বৈধ স্থায়ী অধিবাসী। চিঠিতে গুডলাটে নিলেশের ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়া, তার অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার নথি এবং অভিবাসী হওয়ার তথ্যও চেয়েছেন। নিলেশ ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন।

এ সম্পর্কে মার্কিন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জন কার্লিন বলেন, ‘নিলেশ মোহাম্মদ দাশের বিরুদ্ধে এক মার্কিন কর্মকর্তাকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।’ এরআগে চলতি মাসের প্রথমদিকে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি সহিংস কার্যক্রম চালাতে চাচ্ছে। অপরাধ সংঘটনের আগেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এসব হুমকি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে।’

নিলেশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ,  ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০১৬ সালের প্রথমদিকে আইএস-এর জঙ্গি কার্যক্রমের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে প্যারিস, ফ্রান্স ও স্যান বার্নার্দিনোর হামলার সময়ও তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

উল্লেখ্য, নিলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর এক টুইটার বার্তায় নিলেশ ওই মার্কিন কর্মকর্তার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে লিখেছিল, ‘ওই ব্যক্তি মুসলিমদের হত্যা করতে চায়’। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, নিলেশ ধারণা করেছিল, ওই ব্যক্তি মার্কিন সেনা সদস্য।

আইএস সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। কোনও ব্যক্তি যেন তাদের আক্রমণে উৎসাহিত হতে পারে। অভিযোগপত্রে নিলেশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।

/এসএ/বিএ/