মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

পুতিন-উইকিলিকস প্রশ্নে পরস্পরের ওপর চড়াও ট্রাম্প-হিলারি

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও তার প্রচারণা শিবিরের গোপন নথি বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রকাশিত হওয়ার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষ আগে থেকে দায়ী করে আসছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। তৃতীয় নির্বাচনি বিতর্কেও তার ব্যতয় ঘটেনি। উঠে এসেছে ইমেইল ফাঁস, পুতিন ও উইকিলিকস প্রসঙ্গ।

ট্রাম্প-পুতিন-হিলারি

ইমেইল ফাঁসের পর চাপের মুখে থাকা হিলারি বিতর্কের মুখ অন্যদিকে ঘোরাতে এই ফাঁসের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কটিকেই সামনে তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, ওই ফাঁস হওয়া ইমেইল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনই উইকিলিকসের কাছে তুলে দিয়েছে। ১৭টি গোয়েন্দা সংস্থা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলেও দাবি হিলারির।

বিতর্কে হিলারি বলেন, ‘আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নিন্দা জানাবেন কিনা?’

এর বিপরীতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পুতিন সম্পর্কে জানি না। তিনি আমার সম্পর্কে কিছু ভালো কথা বলেছেন। আমরা একসঙ্গে চলতে পারলে, সেটা ভালো হবে।’

হিলারি পাল্টা আক্রমণ করেন, ‘তিনি (পুতিন) যুক্তরাষ্ট্রে তার পুতুলকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান।’

ট্রাম্প তার জবাবে বলেন, ‘আমি পুতুল না। আপনিই পুতুল।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিলারির কোনও ধারণাই নেই, ওই ইমেইল হ্যাক করার সঙ্গে রাশিয়া, চীন, বা অন্য কোনও দেশের হ্যাকাররা জড়িত কিনা।’

সর্বশেষ নির্বাচনি বিতর্কে ট্রাম্প-হিলারি

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, হিলারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে ইমেইল ফাঁসের জন্য পুতিন প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (হিলারি) পুতিনকে পছন্দ করেন না, কারণ পুতিন সব ক্ষেত্রেই তার চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন।’  

উল্লেখ্য, উইকিলিকস এখন হিলারির নির্বাচনি প্রচারণা শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্তার ইমেইল ফাঁস করছে। সোমবার উইকিলিকস ফাঁস করে হিলারির ইমেইলের দশম খণ্ড। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান শ্যাস-এ দেওয়া হিলারির কয়েকটি বক্তৃতাও সেখানে রয়েছে। ওই প্রতিটি বক্তৃতার জন্য হিলারি পেয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার ডলার করে।

পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায়) নেভেদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসের নেভেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় নির্বাচনি বিতর্কটি শুরু হয়। ৯০ মিনিটের বিতর্কে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ চ্যানেলের ক্রিস ওয়ালেস।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/