মাদুরোর বিরুদ্ধে গণভোট স্থগিত

_92008229_667cb962-5dc8-47e3-8b96-da79566f1bf5

ভেনেজুয়েলার নির্বাচনি কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে গণভোটের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। কাউন্সিল জানিয়েছে, আদালতে প্রমাণ হয়েছে গণভোটের দাবিতে করা ওই প্রচারণায় কারচুপি হয়েছিলো।

এর প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এতে রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়বে।

এদিকে, আট বিরোধী দলীয় নেতার দেশত্যাগ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নির্বাচনি কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিলকে সিদ্ধান্ত দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল, সেই মোতাবেক নির্দেশনাও পাঠিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত স্বাক্ষর গ্রহণ স্থগিত থাকবে।’

অন্তত চারটি রাজ্যের আঞ্চলিক আদালত এই মর্মে রায় দিয়েছে যে, বিরোধী দলের স্বাক্ষর গ্রহণে কারচুপি ঘটেছে। ভোটারদের অন্তত ২০ শতাংশ এতে স্বাক্ষর করলে তবেই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারবে।

উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার এ গণভোটের সময়সূচি দুই পক্ষের জন্যই জরুরি। বিরোধীরা চাইছে গণভোট যেন আগে আগে হয়ে যায়। কেননা ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে যদি গণভোট হয় এবং মাদুরো হেরে যান তবে নতুন নির্বাচনের ডাক দেওয়া হবে। কিন্তু গণভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে সে সময়সীমা পার হয়ে গেলে এবং গণভোটের রায় মাদুরোর বিপক্ষে গেলে তার ভাইস প্রেসিডেন্টই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তিনি। অর্থাৎ সরকারের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন।

সূত্র: বিবিসি

/ইউআর/