টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়. ঘটনাটির সূত্রপাত হয়েছে গত জুনে। তখনই প্রথমবারের মতো সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ও অননুমোদিত রেডিও যোগাযোগ শনাক্ত করার দাবি করেন অ্যামেচার হ্যাম রেডিও অপারেটররা। তারা দাবি করেন সুন্দরবন ও বসিরহাট অঞ্চল থেকে বাংলা ও উর্দু ভাষায় এ রেডিও যোগাযোগ হচ্ছে। আর তার পর পরই অপারেটররা কেন্দ্র সরকারকে খবরটি অবহিত করেন। পরে তাদেরকে সিগন্যালগুলো শনাক্ত করতে বলা হয়। রেডিও সিগন্যালগুলোর সঠিক উৎপত্তিস্থল কোনটি তা নির্ধারণের জন্য ২৩ সদস্যের হ্যাম রেডিও অপারেটরদের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। তারা সার্বক্ষণিক এদিকে খেয়াল রাখছেন।
বেঙ্গল অ্যামেচার রেডিও ক্লাব-এর সচিব আম্বারিশ নাগ বিশ্বাস পিটিআইকে বলেন-‘এ ঘটনাটি খুব সন্দেহজনক এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকিজনক। কারণ, যখনই আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করার চেষ্টা করি তারা কথা বলা বন্ধ করে দেন। আবার কিছু সময় পর তারা বাংলা ও উর্দু ভাষায় নিজেদের যোগাযোগ শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে যোগাযোগ করছিল তাদের বাংলাদেশি বাচনভঙ্গিটা স্পষ্ট ছিল। আমি আমার রেডিও ক্লাব মেম্বারদেরকে সতর্ক করলাম এরপর তারাও একই ধরনের আলাপ শনাক্ত করতে পারল। গত জুনে এ ধরনের যোগাযোগ শুরু হয়েছিল। আর তা দুর্গাপূজা পর্যন্ত ছিল।’
আম্বারিশ জানান, সিগন্যালগুলো শনাক্ত হওয়ার পর তারা কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে খবরটি অবহিত করেন। পরে কলকাতায় আন্তর্জাতিক মনিটরিং স্টেশনের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে তাদেরকে ডাকা হয়। সেখানে হ্যাম অপারেটররা তাদের প্রাপ্ত তথ্য ও শঙ্কাগুলো প্রকাশ করেন। এরপরই তাদেরকে এ সন্দেহজনক যোগাযোগের উৎস শনাক্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, হ্যাম রেডিও মূলত শখের রেডিও সম্প্রচার। একটি বেতারযন্ত্র দিয়ে অন্য একটি বেতারযন্ত্রে বিনামূল্যে কথা বলা বা তথ্য আদান-প্রদানই হলো হ্যাম রেডিও অপারেটরদের কাজ। এক্ষেত্রে তাদের কোনও ইন্টারনেট সংযোগ লাগে না এবং সেল ফোনেরও দরকার হয় না। এই অপারেটররা পাহাড়ের চূড়া, নিজের বাসা অথবা গাড়িতে বসে বিশ্বের যেকোনও জায়গায় অন্য হ্যাম অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। চাইলে মহাকাশযানের নভোচারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন হ্যাম অপারেটররা।
/এফইউ/