অ্যাসাঞ্জ-ঘনিষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিক গ্যাভিন ম্যাকফাডিনের জীবনাবসান

Untitled-3

উইকিলিকসের অন্যতম পরিচালক ও সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের প্রতিষ্ঠাতা গ্যাভিন ম্যাকফাডিনের জীবনাবসানের খবর পাওয়া গেছে। বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে এই খবর এলেও মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো এখনও তার মৃত্যু নিশ্চিত করেনি। তবে গ্যাভিনের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের ওয়েবসাইটে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। উইকিলিকসও তাদের টুইটার একাউন্টে গ্যাভিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।

যে সংবাদমাধ্যমগুলো গ্যাভিনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তারা কেউ তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারেনি। তবে সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সাময়িক অসুস্থতার এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

গ্যাভিনের জীবনে সাংবাদিকতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি উইকিলিক্সের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবেও কাজ করছেন। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জসহ অনেক অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকদের মেন্টর বা পরামর্শক/উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়াও অ্যাসাঞ্জের পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ডিফেন্স কমিটিও গঠন করেন তিনি। 

ম্যাকফাডিন ছিলেন একাধারে অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার। তিনি ২০০১ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সংস্থা সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম(সিআইজে) প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে ও প্রচুর দক্ষ সাংবাদিক তৈরি করেছে। 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জসহ তার অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা অনলাইনে তাকে চিরবিদায় জানিয়েছেন।

‘সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ও নেতৃত্বস্থানীয় আলোকবর্তিকা গ্যাভিন ম্যাকফাডিনের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ বলছে তার নিজের ওই সংগঠন।

উইকিলিক্সের টুইটার পেইজ থেকেও গ্যাভিনের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পোস্টে গ্যাভিনকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জসহ আরও অনেকের মেন্টর বা পরামর্শক বলে উল্লেখ করা হয়।

গ্যাভিনের স্ত্রী এবং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রতিরক্ষা ফান্ডের সদস্য সুসান বেনের পক্ষ থেকে সিআইজের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গ্যাভিনকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে বলা হয়, ‘তিনি ছিলেন সাংবাদিকদের জন্য আদর্শ। তিনি সাংবাদিকতার পথে অনেক রকম প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আজীবন নিরলস পরিশ্রম করেছেন।’

বেন আরও লেখেন, ‘সাংবাদিকের জীবন যেমন হওয়ার কথা তেমনই ছিল তার জীবন ও কর্ম। তিনি আজীবন বঞ্চিতের পক্ষে ও সুবিধাভোগীদের বিপরীতে কাজ করে গেছেন।’

ম্যাকফাডিন ছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার। তিনি ২০০১ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সংস্থা সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম(সিআইজে) প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে ও প্রচুর দক্ষ সাংবাদিক তৈরি করেছে।

/ইউআর/বিএ/