নিউ জিল্যান্ডে শতাধিক ‘আফটার শক’, এক লাখ ভূমিধস

nonameনিউ জিল্যান্ডে ভূমিকম্প ও সুনামিজনিত কারণে আশি থেকে প্রায় এক লাখ ভূমিধস হয়েছে। ‘আফটার শক’ (বড় ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট কম্পন) ঘটেছে শতাধিক। নিউ জিল্যান্ডে ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় পর্যবেক্ষণকারী প্রকল্প জিওনেট-এর দেওয়া তথ্য থেকে এসব কথা জানা গেছে।

জিওনেট-এর হিসেব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কারণে দেশটিতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ভূমিধস হয়েছে। কাইকৌরার আশেপাশে দুর্গম এলাকাগুলোতেই এ ভূমিধস বেশি হয়েছে। জিওনেট জানায়, ভূমিধসের কারণে যে ল্যান্ডস্লাইড ড্যাম বা লেক তৈরি হয় তা হাজার হাজার বছর থেকে যেতে পারে। সেগুলো ধীরে ধীরে ভরতে পারে আবার খুব দ্রুতও ভরতে পারে। যখন এ ড্যামগুলো দ্রুত ভরে যায় তখন রিভার সিস্টেমে ব্যাপক পরিমাণ পানি ও পলি ছাড়তে পারে। আর এ বন্যা নদী ব্যবহারকারীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাদের পর্যবেক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হুরুনুই থেকে আওয়াতেরে পর্যন্ত সাউথ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের সব নদী থেকে দূরে থাকার জন্য লোকজনকে পরামর্শ দিয়েছে তারা।

এদিকে ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক ব্যাহত হওয়ার পর মঙ্গলবার নতুন করে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা কাইকৌরায় আটকা পড়া পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাতে (বাংলাদেশ সময় রবিবার বিকাল ৫টা) খ্রিস্টচার্চের উত্তরপূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫। ভূমিকম্পের পর সুনামিও আঘাত হানে। অনুভূত হয়েছে শতাধিক আফটার শক। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ জনের প্রাণহানির ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও দুর্গত এলাকায় এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে হচ্ছে। তবে প্রচণ্ড বাতাস আর বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হতে থাকে।

/এফইউ/বিএ/