মিট রমনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার গুঞ্জন মিথ্যে নয়

nonameপররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর মিট রমনির নাম সামনে আসে শুক্রবার। এরপর থেকে বেশ কয়েকজন ফ্রন্টরানারকে রেখে তাকে নিয়েই চলতে থাকে গুঞ্জন। ডোনান্ড ট্রাম্পের ফ্রন্টরানার, নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবার জানালেন, ট্রাম্পের এই কট্টর সমালোচকের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার গুঞ্জনটি গুজব নয়। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেন্স জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
প্রশাসনের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এরইমধ্যে আলোচনায় এসেছে বেশ কয়েকজনের নাম। সর্বোচ্চ আলোচিত মেয়র রুডি জুলিয়ানি ছাড়াও জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন বোল্টন, সাবেক টেনেসি সিনেটর বব ক্রুকার, সাউথ ক্যারোলিনার গভর্নর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হলেকে সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সামনে এনেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে তাদের সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় আসেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক রমনি। তিনি মূলধারার রিপাবলিকান ঐতিহ্যের মানুষ।  
শনিবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গুঞ্জনকে সত্যি করে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প-রমনি। তবে কোনও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই বৈঠকের বিস্তারিত জানাতে পারেনি এ পর্যন্ত। রমনির পক্ষ থেকে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার কথা জানানো হলেও আড়ালে থাকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাব্যতা। তবে রবিবার ফক্স নিউজের সানডে প্রোগ্রামে নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স জানান, সত্যিই রমনিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শীর্ষ কূটনৈতিক পথে বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
পেন্স বলেন, ‘ট্রাম্প ও রমনির মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমি যতোদূর জানি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটিতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।’

ট্রাম্প তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাকে ভাবছেন, এমন প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডলফ জুলিয়ানির নাম।  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জন বোল্টনও এসেছেন আলোচনায়। তবে জুলিয়ানি ও বোল্টন দুজনই বিতর্কিত। তাঁদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করার আগেই বিভিন্ন মহল থেকে উভয়ের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি উঠেছে। এরপর সাবেক টেনেসি সিনেটর বব ক্রুকার, সাউথ ক্যারোলিনার গভর্নর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হলের নাম সামনে আসে। তবে সব ছাপিয়ে এখন রমনির নামটিই প্রধান হয়ে উঠেছে।

রমনি ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক। কট্টর রুশবিরোধী হিসেবে পরিচিত তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, রমনি যদি সত্যিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান, তাহলে তাকে  রিপাবলিকান স্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সংযোগপ্রচেষ্টা হিসেবেই দেখতে চাইছে তারা।
/বিএ/