কুক পলিটিক্যাল রিপোর্টের হাউজ এডিটর এবং রাজনীতি বিশ্লেষক ডেভ ওয়াসেরমান বলেন, সর্বশেষ পাওয়া হিসেব অনুযায়ী হিলারি ক্লিনটন ৬ কোটি ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়েছেন। বিপরীতে ট্রাম্প পেয়েছেন ৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৩৯৫ ভোট। অথচ ইলেক্টোরাল ভোটের দিক দিয়ে ৫৩৮টির মধ্যে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৯০টি এবং হিলারি পেয়েছেন ২৩২টি। তবে মিশিগানে তাদের দুইজনের ব্যবধান ১ শতাংশেরও কম হওয়ায় এর ফলাফল ঝুলে আছে। অবশ্য সেখানে ট্রাম্পই এগিয়ে রয়েছেন। অবশ্য, হিলারি পপুলার ভোটে যতই এগিয়ে থাকুন না কেন তাতে লাভ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণের ভোট (পপুলার ভোট) নয়, ইলেক্টোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ৫৩৮ ইলেক্টরের সমন্বয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এর মধ্যে অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়। মেইন ও নেবরাস্কাকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রেই পপুলার ভোটে জয়ী প্রার্থীকে সবগুলো ইলেক্টর দিয়ে দেওয়া হয়। মেইন ও নেবরাস্কায় প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের সংখ্যানুপাতে ইলেক্টর বন্টন করা হয়। এর মধ্যে কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যেগুলোর জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেক্টর সংখ্যা বেশি, আবার কিছু অঙ্গরাজ্যে কম। আর সেকারণে অনেক সময় দেখা যায় কেউ বেশি ইলেক্টর পেলেও তার মোট প্রাপ্ত ভোট (পপুলার) পরাজিত প্রার্থীর চেয়ে কম হতে পারে। আর তেমনই হয়েছে এবারের নির্বাচনে। এর আগেও মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসে চারবার এমন হয়েছিল। তবে সে চারবার হিলারির মতো এতো বেশি ব্যবধান দেখা যায়নি। হিলারির আগ পর্যন্ত আল গোরই এ তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। সূত্র: পলিটিকো, ইন্ডিপেনডেন্ট
/এফইউ/