কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কিউবার ‘মুক্তি’ দেখছেন ট্রাম্প

ট্রাম্প-ফিদেলমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর তার প্রশাসন কিউবানদের মুক্তি এবং অগ্রগতির জন্য যা করা দরকার, তা-ই করবে। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন কিউবার সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য, ভ্রমণ এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে অগ্রগতি লাভ করেছে। তবে ট্রাম্পের বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট নয়, তারা এই আলোচনা চালিয়ে যাবেন কিনা।
বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘যদিও ফিদেল কাস্ত্রোর জন্য যে ট্র্যাজেডি, মৃত্যু এবং বেদনা সহ্য করতে হয়েছে, তা আমরা মুছে ফেলতে পারবো না। তবে আমাদের প্রশাসন কিউবার জনগণের মুক্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিতের জন্য কাজ করবে।’
ট্রাম্পের আশা, কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর কথিত সেই বিভীষিকার অবসান হবে। তিনি আরও বলেন, ‘কিউবা এখনও এক কর্তৃত্ববাদী দ্বীপ। আজ আমি প্রত্যাশা করছি, এই আতঙ্ক খুব বেশিদিন থাকবে না, আর তা কিউবানদের এমন এক ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করবে, যা তাদের একান্ত প্রাপ্য।’
উল্লেখ্য, ইতিহাসে একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ফিদেল কাস্ত্রোর ভূমিকা কী, তা নিয়ে বিভক্তি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। অর্ধশতাব্দী কিউবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে তিনি সমালোচকদের চোখে একনায়ক। তবে বেশিরভাগ কিউবাবাসীর কাছে তিনি মহানায়ক। যিনি জাদুর কাঠিতে বদলে দিয়েছিলেন দারিদ্র্যপীড়িত একটি দেশকে।
কিউবার দাবি অনুযায়ী, কাস্ত্রো ৬৩৪টি হত্যা পরিকল্পনা এবং চেষ্টা থেকে রেহাই পেয়েছেন। এগুলোর বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহিষ্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর ষড়যন্ত্র ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। বিষাক্ত ওষুধ, বিষাক্ত চুরুট কিংবা বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত সাঁতারের পোশাকসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল।

শুক্রবার ৯০ বছর বয়সী এ নেতার জীবনাবসান হয়। ফিদেলের ভাই এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে ৯ দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ৪ ডিসেম্বর কিউবার সান্তিয়াগোতে তাকে সমাহিত করা হবে।

সূত্র: রয়টার্স।

/এসএ/