হাইতিবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন জাতিসংঘ মহাসচিব





বান কি মুনপ্রাণঘাতী কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা নিতে না পারার কথা জানিয়ে প্রথমবারের মতো হাইতিবাসীর ক্ষমা চাইলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।যদিও জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকার অভাবে নয়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে হাইতিতে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিলো।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে হাইতি। ওই বছরই জাতিসংঘ ঘাঁটিতে পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে হাইতিতে কলেরা ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে নেপালি শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে হাইতিতে কলেরা ছড়ায়। এর আগ পর্যন্ত দেশটি কলেরামুক্ত ছিল। ওই সময় থেকে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট এই রোগে দেশটিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিব ওই কারণে ক্ষমা চাননি। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন কলেরা ঠেকাতে জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা জানিয়ে।তিনি বলেছেন, ‘হাইতিতে কলেরা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যতটুকু করা প্রয়োজন ছিল তা আমরা করিনি। আমাদের ভূমিকার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মুন বলেন, ‘আমরা হাইতির জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
তবে দীর্ঘদিন পর জাতিসংঘ ক্ষমা চাইলেও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আইনি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি।
/বিএ/