ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনি প্রচারণার সময় হিলারির নিজেকেও বানোয়াট সংবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো পিজাগেইট। হিলারির পরাজয়ের পর অনলাইনে একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল যে একটি পিৎজা শপে হিলারি ও তার ঘনিষ্ঠরা একটি শিশু যৌন চক্র পরিচালনা করে থাকেন। গত রবিবার একটি রেস্টুরেন্টে রাইফেল নিয়ে গুলি চালানোর পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জানান, নিজে থেকে ওই সংবাদের সত্যতা অনুসন্ধান করতে এসেছিলেন তিনি। সরাসরি ওই ঘটনার উল্লেখ না করলেও হিলারি মনে করেন, অনলাইনে অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যে সংবাদের ছড়াছড়ি চলছে এবং তার পরিণতি বাস্তব।
গত ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পর জনসমক্ষে খুব কমই হাজির হচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। বেশ কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার আবারও তাকে জনসমক্ষে দেখা গেল। এদিন ক্যাপিটল হিলে উপস্থিত আইনপ্রেণতাদের লক্ষ্য করে হিলারি বলেন, ‘এটি এখন পরিষ্কার যে ‘মিথ্যে সংবাদ’ এর বাস্তব বিশ্ব প্রভাব থাকতে পারে। এটি রাজনীতি কিংবা দলীয় বিভক্তির প্রশ্ন নয়। জীবন ঝুঁকিতে আছে। সাধারণ মানুষ কোনওরকমে তাদের জীবন কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, চাকরি করছেন, নিজেদের কমিউনিটিতে ভূমিকা রাখছেন। আমাদের গণতন্ত্র ও নিষ্পাপ জীবনগুলোর সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বেসরকারি ও সরকারি খাতের নেতাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
/এফইউ/