ওরকাটয় এলাকায় রেইনা নৈশক্লাবে শনিবার দিবাগত রাত ১টার পরপর এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে এই হামলা হয়। দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একজন সন্ত্রাসী নির্মমভাবে নববর্ষ উদযাপনরত নিরীহ লোকজনের ওপর গুলি চালায়।’
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেয়মান সয়লু জানিয়েছেন, হামলাকারীদের খোঁজে অভিযান শুরু হয়েছে। সুলেয়মান সয়লু সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারীকে খোঁজা শুরু হয়েছে। পুলিশ সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে। আশা করি শিগগির হামলাকারী ধরা পড়বে।’
ইস্তানবুলের গভর্নর ভ্যাসিপ শাহিন প্রাথমিকভাবে জানান, বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন।পরে রয়টার্স এবং গার্ডিয়ান পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বরাত দিয়ে নিহতদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন বিদেশি নাগরিক থাকার কথা জানিয়েছে রয়টার্স। আর পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে সুনির্দিষ্ট করে গার্ডিয়ান নিহতদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশি নাগরিক থাকার কথা জানিয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেয়মান সয়লু জানিয়েছেন. হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৯ জন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে এই হামলা হয়। দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একজন সন্ত্রাসী নির্মমভাবে নববর্ষ উদযাপনরত নিরীহ লোকজনের ওপর গুলি চালায়।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছেঠ, তুরস্কের সম্প্রচার মাধ্যমে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রচার করা হয়েছে। ওই ফুটেজে সান্তা ক্লজের পোশাক পড়া এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে। এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তুর্ক প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলছে, হামলাকারী সান্তা ক্লজের পোশাকে ছিল।
ইস্তানবুলের গভর্নর ভ্যাসিপ শাহিন নৈশ ক্লাবে গুলির এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রাদেশিক গভর্নর। গভর্নর বলছেন, এক ব্যক্তি এই হামলা চালিয়েছে।তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ একাধিক হামলাকারী ছিল বলে দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলার সময় নৈশক্লাবে প্রায় ৭০০ লোক ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে।
সম্প্রতি ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার কবলে পড়েছে তুরস্ক। হামলার আশঙ্কায় এরই মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার পুলিশ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ইস্তানবুলে ছিল উচ্চ সতর্কতা। তারপরও এই হামলা সংঘটিত হলো। এর মাত্র কিছুদিন আগেই আঙ্কারায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভকে গুলি করে হত্যা করেন পুলিশ কর্মকর্তা মেভলুত মের্ত আলতিনতাস।
/বিএ/