বহিষ্কৃত ৩৫ রুশ কূটনীতিকের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ

noname
যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন বহিষ্কৃত ৩৫ রুশ কূটনীতিক। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রবিবার তারা বিমানযোগে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তি।
ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা জানান, কূটনীতিকদের বহনকারী বিমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড্ডয়ন করেছে। ৩৫ কূটনীতিকের সবাই বিমানটিতে রয়েছেন। রয়েছেন তাদের স্বজনরাও। কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে ৯৬ জন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওয়াশিংটন ডিসি এবং সান ফ্রান্সিসকো কনসুলেটের ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেন। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সপরিবারে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ‘খেলো’ করার চেষ্টার জন্য যারা দায়ী এসব পদক্ষেপ তাদের জন্যই নেওয়া হয়েছে। তবে মার্কিন প্রশাসনের এসব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে রুশ কর্তৃপক্ষ। 

ওই বহিষ্কারাদেশের পর মনে করা হচ্ছিল রাশিয়াও মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করবে। কিন্তু শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে  জানিয়েছেন, ‘আমরা আর কাউকে বহিষ্কার করতে চাই না।’

ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ভ্লাদিমির পুতিনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন বছরের ছুটির সময়ে মার্কিন কূটনীতিকরা পরিবার ও ছেলেমেয়ে নিয়ে যেসব জায়গায় ছুটি কাটাচ্ছেন, সেগুলোও তারা বন্ধ করছেন না। তিনি বরং ওই কূটনীতিকদের সপরিবারে ক্রেমলিনে বড়দিনের উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে পুতিন জানিয়েছেন, তিনি ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান। নতুন মার্কিন প্রশাসনের নীতির ওপরই নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

পুতিনের ওই বিবৃতির পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘পাল্টা জবাব দিতে সময় নেওয়াটা (ভ্লাদিমির পুতিনের) এক মহৎ পদক্ষেপ। আমি আগে থেকেই জানতাম, তিনি খুবই স্মার্ট!’

ট্রাম্প বরাবরই ওবামা প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে পুতিনকে প্রশংসা করে আসছে। এর আগে নির্বাচনি প্রচারণা চলার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন আমাদের প্রেসিডেন্ট থেকে অনেক ভালো নেতা।’ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মার্কিন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধ’ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কাছাকাছি আসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

/এমপি/বিএ/