উল্লেখ্য, কংগ্রেস সদস্যদের বেশ কয়েকটি দুর্নীতিজনিত কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালে এথিকস অফিস গঠন করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতাকে অভিযুক্তও করা হয়। এতোদিন এথিকস কর্তৃপক্ষ জনসমক্ষে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারলেও এবার তাদের ক্ষমতা কমানোর ব্যাপারে তৎপর হয়েছেন হাউস রিপাবলিকান সদস্যরা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেসনাল এথিকসের অফিসকে হাউস এথিকস কমিটির আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন হাউস রিপাবলিকানরা। পরে তাদের মধ্যে এ নিয়ে সমঝোতা হয়। মঙ্গলবার প্রস্তাবটি রিপাবলিকান আধিপত্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে।
রিপাবলিকান সদস্য বব গুডলেট জানান, প্রস্তাবটি অনুমোদন পাওয়ার পর এথিকস কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতিবেদন আইন প্রণেতাদের সরবরাহ করতে হবে, যা আগে প্রকাশ্যে উপস্থাপন করা হতো। এছাড়া অফিসটির নাম পাল্টে কংগ্রেসনাল কমপ্লেইন্ট রিভিউ করা হবে।
রিপাবলিকানদের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন হাউস ডেমোক্র্যাটিক নেতা ন্যান্সি পেলোসি। হাউস স্পিকার থাকাকালীন তিনিই এথিকস অফিস গড়ে তুলেছিলেন। তার অভিযোগ, নিজেদের আচরণ পর্যবেক্ষণকারী কেমাত্র স্বাধীন কর্তৃপক্ষকেও বিলুপ্ত করছে রিপাবলিকানরা।’
এক বিবৃতিতে পেলোসি বলেন, ‘এটা প্রমাণিত যে নতুন রিপাবলিকান কংগ্রেসের প্রথম বলি নীতি-নৈতিকতা।’
অনদিকে রিপাবলিকান নেতা বব গুডলেটের দাবি, এ সংশোধনীর কারণে অফিস অব কংগ্রেসনাল এথিকস-এর কাজ বাধাগ্রস্ত হবে না।
কংগ্রেসের দুই কক্ষেরই আধিপত্যে থাকা রিপাবলিকানরা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্যোগে চালু হওয়া স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিধিগুলোও পরিবর্তনের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
/এফইউ/