‘বেঙ্গালুরুতে থার্টিফার্স্ট নাইটে গণহারে যৌন নিপীড়নের কোনও প্রমাণ নেই’

nonameইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে বেঙ্গালুরুতে নারীদের ওপর ব্যাপক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এরইমধ্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেদিন বহু নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে থাকা প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য নীরব ভূমিকা পালন করেছে। তবে বেঙ্গালুরু’র পুলিশ কমিশনার বলেছেন, নববর্ষের আগের দিন শহরের কেন্দ্রস্থলে ব্যাপক শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তার কোনও প্রমাণ নেই।
বেঙ্গালুরু’র পুলিশ কমিশনার প্রাভিন সুদ বিবিসি’কে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা প্রায় ৭০টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছেন।

এর আগে অবশ্য বুধবার পুলিশের পক্ষ আট ব্যক্তিকে আটকের কথা বলা হয়। তবে বেঙ্গালুরু’র পুলিশ কমিশনারের দাবি, বুধবার যাদের আটকের কথা বলা হয়েছে সেটা থার্টিফার্স্ট নাইটের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য নয়। শহরের অন্য জায়গার ঘটনায় তাদের আটক করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার প্রাভিন সুদ বলেন, লোকজন বর্ষবরণের রাতে এক তরুণীর বাসায় যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে দুজন নেমে তাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তারা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা দেখেছি। এখানে গুরুতর শ্লীলতাহানির বিষয়টি বেশ স্পষ্ট ছিল। আমরা অপেক্ষা করিনি। এমনকি আমরা ঘটনার শিকার নারীকেও বিরক্ত করিনি। তার কাছে কিছু জানতেও চাওয়া হয়নি। আমরা তার পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছি। আমরা একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছি।

বেঙ্গালুরু’র পুলিশ কমিশনার বলেন, কথিত এই ‘যৌন নিপীড়ন’ কখনেই বেঙ্গালুরু’র কেন্দ্রস্থলে সংঘটিত হয়নি। এটা হয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় ১০ হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার কথা শুনে আতঙ্কিত লোকজন দৌড়াতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে অনেক মেয়েরাও ছিল। লোকজন পরস্পরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তারা কান্নাকাটি করতে থাকেন। বিশৃঙ্খলার মধ্যে কথিত গণশ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এটা হয়তো ৩০ সেকেন্ডের মতো হবে। আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি, বাস্তবে এ ধরনের কিছু ঘটেনি।

বেঙ্গালুরু’র পুলিশ কমিশনার বলেন, লোকজন এ ধরনের কথা বললেও কেউ যৌন নিপীড়ন বা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে যারা এ ধরনের অভিযোগ করেছে, সেগুলোকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করতে পুলিশ প্রস্তুত।

ঘটনার শিকার একজন নারী অবশ্য বিবিসি’কে বলেছেন, এ ঘটনায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনও একজনকে শনাক্ত করা কঠিন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে জটিলতার কথাও বলেন তিনি।

/এমপি/