ট্রাম্পের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাৎ করবেন থেরেসা মে

থেরেসা মে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে চলতি বছরের বসন্তেই যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ নিক টিমোথি ও ফিওনা হিল গতবছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তারা ট্রাম্পের অন্তবর্তী দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ট্রাম্পের অন্তবর্তী দলের পক্ষ থেকে থেরেসা মে-কে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পরই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই থেরেসা ওয়াশিংটনে যেতে পারেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বৈঠক করাটা একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একমত যে; এটা খুব কাজের হবে। এটা ঘটতে যাচ্ছে বলে আমরা খুব খুশি। চলতি বসন্তেই নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন।

২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর এবং ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা শুরু করতে লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০ অনুসরণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মতোই থেরেসা মে-ও ট্রাম্পের অভিবাসন-বিষয়ক অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে থেরেসা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হবে ‘বিভেদজনক, অসহযোগিতামূলক এবং ভুল’। তবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেরেসা মে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

থেরেসা-র মতো তার টিমের কর্মকর্তারাও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। গতবছর মে মাসে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ নিয়োগ পাওয়ার আগে টিমোথি টুইটারে বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক চান না। ট্রাম্পকে মাথামোটা বলেও আরেকটি টুইট করেছিলেন টিমোথি।

নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই থেরেসা মে-কে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখনই জানা গিয়েছিল ২০১৭ সালের শুরুর দিকেই তিনি (মে) ওয়াশিংটন সফর করতে পারেন। যদিও ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকেও এখনও সফরের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ওয়াশিংটনে উড়াল দিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

/এএ/এমপি/