ওবামা জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা স্বীকার করি বা না করি, গণতন্ত্র হুমকি সম্মুখীন হয়েছে।’ তিনি মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য তিনটি হুমকির দিকে নির্দেশ করেছেন – অর্থনৈতিক বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিভক্তি। জনগণকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার’ আহ্বান জানান ওবামা।
‘আশা ও পরিবর্তনের’ অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন বারাক ওবামা। তবে ওবামার করা অনেক কাজ পরিবর্তন করার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মাসের ২০ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প।
বিদায়ী ভাষণে ওবামা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে এক প্রেসিডেন্ট থেকে অপর প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতার বদল হওয়াটা মার্কিন গণতন্ত্রের এক বিশেষ দিক। তবে সকলকে সমান অর্থনৈতিক সুযোগ না দিয়ে আমাদের গণতন্ত্র কার্যকর থাকতে পারে না।’
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দেশটির সর্বস্তরের মানুষদের একে-অপরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের একে-অপরের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং শুনতে হবে।’
তবে ওবামা দাবি করেন, ‘যে কোনও ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র আট বছর আগের অবস্থান থেকে আরও উত্তম ও শক্তিশালী হয়েছে।’
তিনি তরুণ মার্কিনিদের প্রশংসা করে বলেন, ‘একটি ন্যায়, স্বচ্ছ ও সামষ্টিক সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালে আমি যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, তার চেয়ে এখন অনেক বেশি আশাবাদী।’
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ের পর শিকাগোতেই প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন ওবামা। এবার সেখানেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্বশেষ ভাষণ দিলেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি।
/এসএ/