‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলে কংগ্রেসের পদক্ষেপ

বাতিল হচ্ছে ‘ওবামা কেয়ার’মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাক্ষরিত বহুল আলোচিত স্বাস্থ্যনীতি ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলে পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রিজেন্টিটিভস (প্রতিনিধি পরিষদ)।

‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে ২২৭-১৯৮ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়। গত বৃহস্পতিবার এটি সিনেটে ৫১-৪৮ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেন, “‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলে পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে এই নীতির ফলে মার্কিন জনগণকে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা থেকে মুক্তি দেওয়ার পথে আমরা আরও অগ্রসর হলাম।”

তিনি আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপ এক-এক করে সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার নিয়ন্ত্রণ তুলে ধরবে।’

ওবামার স্বাস্থ্যনীতি বাতিল হলেও রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সদস্যরাই ‘ওবামা কেয়ার’-এর পরিবর্তে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে। এই আইন নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে টানাপোড়ন দুই কোটি মার্কিনির স্বাস্থ্যসেবাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘স্বল্প ব্যয়ে এতো বেশিসংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসাটা অন্য কোন নীতির মাধ্যমে সম্ভব নয়। আমার প্রশাসনের হলেও ওবামা কেয়ার নামটি আমি দেইনি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে আইনটি যেন বাতিল করা না হয়।’

ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময়েই ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় আসলে তিনি ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল করবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম কাজই হবে ওবামা কেয়ার বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা। তবে ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের পুরো প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত করতে অন্তত ১০ বছর লেগে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে ২০১০ সালে পাশ হওয়া ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ই ‘ওবামা কেয়ার’ নামে পরিচিতি পায়।

সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/