ট্রাম্পের আচরণকে ‘যৌন হয়রানি’ বললেন সম্ভাব্য মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেস্টি ডিভোসমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণকে আপনি যৌন হয়রানি বলে মনে করেন কিনা, এমন প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য শিক্ষামন্ত্রী বেস্টি ডিভোস উত্তর দেন – ‘হ্যাঁ’।

২০০৫ সালে উপস্থাপক বিলি বুশের সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফুটেজ গতবছর ফাঁস হওয়ার পর দেখা যায়, সেখানে ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নারী বিদ্বেষী ও যৌন হয়রানিমূলক অনেক মন্তব্য করেছেন।

রিপাবলিকান পার্টির সহযোগী বেস্টি ডিভোস, যাকে ট্রাম্প সম্প্রতি তার প্রশাসনের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন, তিনি ট্রাম্পের ওই আচরণকে ‘যৌন হয়রানি’ বলে মনে করেন।

মঙ্গলবার সিনেট শুনানিতে এক প্রশ্নের জবাবে ডিভোস এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘কোনও নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে স্পর্শ করা বা চুমু দেওয়াকে’ তিনি যৌন হয়রানি বলে মনে করেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হলে স্কুল-কলেজে এমন আচরণের বিষয়ে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য রাখবেন বলে জানান। 

সিনেটের অনুমোদন নেওয়ার পরই ডিভোস শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে দেওয়া একটি নারীবিদ্বেষী বক্তব্য গতবছর ৭ অক্টোবর ফাঁস হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। ২০০৫ সালে ধারণ করা ভিডিও সাক্ষাৎকারটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ফাঁস করে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি-র উপস্থাপক বিলি বুশকে টেলিফোনে ওই ‘বিতর্কিত’ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান। ফাঁস হওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তারকারা নারীদের নিয়ে যা খুশি করতে পারে আর এতে ওই নারীরাও বাধা দেবে না।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তার আগ্রহের কথাও জানান। মিস ইউনিভার্সসহ কয়েকটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক ট্রাম্প সুন্দরী নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আকাঙ্ক্ষাও জানিয়েছিলেন। সেই অডিও ফাঁসের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী নতুন নতুন যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ করেন।

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। 

/এসএ/