ইরানবিরোধী পদক্ষেপ নিতে ট্রাম্পের সহায়তা চায় ইসরায়েল

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পতেহরানের দেওয়া ইসরায়েল ধ্বংসের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা চাইছে তেল আবিব। শনিবার (২২ জানুয়ারি) ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, শিগগিরই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি।

ভিডিওতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছি আমি। ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য ইরান সরকারের পক্ষ থেকে যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।’

ভিডিওতে ইংরেজিতে বক্তব্য দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে সেখানে পার্সি ভাষায় সাবটাইটেল জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে ইরানি জনগণকে আশ্বস্ত করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা তোমাদের বন্ধু, শত্রু নই। সরকার নিষ্ঠুর- জনগণ নয়; শাসক আক্রমণাত্মক- জনগণ উষ্ণ...তোমাদের (ইরানিদের) গর্ব করার মতো ইতিহাস আছে। তোমরা অনেক সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দেশ। দুঃখজনকভাবে তোমরা এক ঐশ্বরিক শাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।’

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বেশ কয়েকবারই ট্রাম্পকে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সমালোচনা করতে দেখা গেছে। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় শক্তিধর দেশের মধ্যে হওয়া ওই চুক্তির ঘোর বিরোধিতা করে শুরু থেকেই। ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে তাদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক স্বার্থগত সংঘাতের চিহ্ন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল সেই ঘটনা। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েলের অবস্থান অভিন্ন।

১৬ জানুয়ারি টাইমস অব লন্ডন এবং জার্মানির বিল্ড পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইরান পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে খুশি নন। এ চুক্তিকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বাজে চুক্তি বলে মনে করেন তিনি।

নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি প্রায়ই বলতেন এ চুক্তি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে। অবশ্য জয়ের পর এ ব্যাপারে কিছু বলেননি ট্রাম্প।

২০১৫ সালে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা সীমিত করে আনার শর্তে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সমঝোতা হয়। শুরু থেকেই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন নেতানিয়াহু।

ডিসেম্বরে নেতানিয়াহু বলেন, ইরান পারমাণবিক চুক্তি বাতিলের অনেক পথ আছে এবং তা নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ করবেন।  সূত্র: আলজাজিরা

/এফইউ/বিএ/