‘এক চীন নীতি’ বহাল রেখেই ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় চীনা কর্তৃপক্ষ

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উই‘বিতর্কিত’ বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী চীন। তবে তা হতে হবে ‘এক চীন নীতি’ বহাল রেখেই। এমনটাই জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উই।

গত শুক্রবার শপথ গ্রহণ করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বক্তব্যে ‘এক চীন নীতি’র বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর আগে নির্বাচিত হওয়ার পর রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় এক চীন নীতি পুনর্বিবেচনার কথাও বলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে তখন কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায় চীন।

একইভাবে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার বলেছেন, চীন যদি আন্তর্জাতিক পানিসীমায় দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু করে, আর ওই অঞ্চল যদি চীনের অংশ না হয়; তাহলে একটি দেশের হাত থেকে আন্তর্জাতিক এলাকা রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চীনা নতুন বছর উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওয়াং উই জানান, চীন-মার্কিন সম্পর্ক অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

তিনি বলেন, “আমরা ‘এক চীন নীতি’র ভিত্তিতে ও একে-অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের প্রতি আস্থা রেখেই নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী।”

তিনি আরও বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’

এদিকে, ওয়াশিংটনে চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাইয়ের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন মার্কিন প্রশাসন এখনও ‘চীন নীতি’ গঠন করেনি। তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু হলে, উভয় দেশকেই এজন্য ভুগতে হবে।

সূত্র: রয়টার্স। 

/এসএ/