আদালতে জানানো আবেদনে বলা হয়, তামিলনাড়ু সরকারের আনা নতুন আইন অবৈধ।
আবেদনকারীরা জানান, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছিল জাল্লিকাটুতে পশুর ওপর অত্যাচার হয়। এজন্য জাল্লিকাটুর অনুমতি দেওয়া হবে না। এখন সেই রায়ের বিরোধিতা করছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তামিলনাড়ু সরকার। প্রাণীদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের মতো বিষয়গুলো সংশোধন করা যায় না। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত পুনর্বিচারের আবেদন আগেই খারিজ করেছে। ফলে তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের নতুন আইন সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিপরীত।
সুপ্রিম কোর্টে জানানো আবেদনে তামিলনাড়ু সরকারের নতুন আইনে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৩ জানুয়ারি তামিলনাড়ু বিধানসভায় জাল্লিকাটু চালু রাখতে একটি বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস করে তাকে আইনি বৈধতা দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে একটি আবেদনের ভিত্তিতে জাল্লিকাটু নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। একটি ছুটন্ত ষাঁড়কে কৌশলে কাবু করার ঐতিহ্যবাহী এই খেলায় পশু নির্যাতন হয় এমন কারণ দেখিয়ে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তামিলনাড়ু সরকার গতবছর এবং চলতি বছরও ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়। গতবছর আদালত ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে তামিলনাড়ু বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাল্লিকাটুর সমর্থনে বিল পাস হয়।
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতসহ বিভিন্ন স্থানে জাল্লিকাটু নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তরুণরা। তাদের দাবি, জাল্লিকাটুতে নিষেধাজ্ঞা তামিল সংস্কৃতির পরিপন্থী। এক পর্যায়ে রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে জাল্লিকাটু ফেরানোর প্রস্তাব দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার গত শুক্রবার সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। এরপরে অর্ডিন্যান্স এনে জাল্লিকাটু ফেরায় তামিলনাড়ু বিধানসভা।
/এমপি/