খবরে বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসে চীনে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। গত বছরই চীনা সরকার এ আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে তাকে। অবশ্য এ আয়োজনে তিনি থাকবেন কিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসবভন থেকে মঙ্গলবার (৭ মে) পর্যন্ত তা নিশ্চিত করা হয়নি।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে জর্জ ওসবর্নকে অপসারণের পর গত কয়েক মাসে চীনের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না যুক্তরাজ্যের। এ ছাড়া গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা ভেবে আকস্মিকভাবে ১৮ বিলিয়ন পাউন্ড বাজেটের হিঙ্কলে পয়েন্ট নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিলে ব্রিটেনের নতুন রক্ষণশীল সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
তাই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করাও এ সফরে থেরেসা মের অন্যতম লক্ষ্য। সাবেক চ্যান্সেলর ওসবর্ন ছয় বছর ধরে বেইজিংয়ের সঙ্গে উষ্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধরে রেখেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওসবর্নের অনুপস্থিতি চীন ও ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মূলত এ কারণেই চীন সফরকে থেরেসা মে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন।
চলতি মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, চীন, ব্রাজিল ও উপসাগরীয় দেশগুলো বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বৈশ্বিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে চলতি বছর থেকে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক সফর করেছেন থেরেসা মে। গত বছরের বড়দিনের আগে বাহরাইনেও গিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া তার আমন্ত্রণে ব্রিটেন সফর করেছে ইসরায়েল ও ইতালি সরকার।
/জেএইচ/এমএনএইচ/