সালাম ফায়াদের মনোনয়নের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস নিরাপত্তা পরিষদকে লেখা চিঠিতে সালাম ফায়াদকে নিয়োগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় ট্রাম্প প্রশাসন হতাশ।
নিক্কি হ্যালে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের মিত্র ইসরায়েলের ক্ষতি করে অন্যায্যভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুকূলে রয়েছে জাতিসংঘ।”
ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র নয়। তবে দেশটি বিশ্বসংস্থার পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৩৭টি দেশই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এসব মানতে রাজি নয় ইসরায়েল-ঘেঁষা ট্রাম্প প্রশাসন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকার করে না। জাতিসংঘের তরফে ফায়াদের নিয়োগের বিষয়েও কোনও সংকেতও দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের কূটনীতিকরা অবশ্য সালাম ফায়াদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তারা জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তিনি সুপরিচিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের ১৪টিই তার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে এতে বাধ সাধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন দৃঢ় অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে তেল আবিব।
নির্বাচনি প্রচারণায় এবং হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার পরও ইসরায়েলের প্রতি নিজের জোরালো সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র সঙ্গে প্রথম ফোনালাপেও দেশটির প্রতি নিজ প্রশাসনের সমর্থনের কথা জানান ট্রাম্প।
ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত ট্রাম্পকন্যা ইভানকা ট্রাম্পকে ইসরায়েলের ‘ট্রাম্প কার্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ফক্স নিউজ’সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ২০০৯ সালে জ্যারেড কুশনারকে বিয়ের আগে তিনি ধর্মান্তরিত হন। আর ইসরায়েলের প্রতি শুরু থেকেই খোলাখুলি সমর্থন দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। এর ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংযোজন, নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সব দেশের সমর্থনের পরও ভেটো ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একজন ফিলিস্তিনি নাগরিকের নিয়োগ আটকে দেওয়া। সূত্র: পলিটিকো, ফক্স নিউজ।
/এমপি/